চট্টগ্রাম সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

সাধ্যের মধ্যেই সব মিলছে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মার্চ, ২০২৫ | ১:৫৯ অপরাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট। সন্ধ্যা নামতেই জ্বলে উঠে সহস্রাধিক রঙিন বাতি। বর্ণিল আলোকসজ্জায় ঢাকা পড়ে পুরো মার্কেট ভবন। বহুল জনপ্রিয় এই শপিংমলের সবক’টি প্রবেশ পথেই রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্বাচ্ছন্দ্যে মার্কেটে আসা যাওয়া করছেন ক্রেতারা। প্রতিটি ফ্লোরে সর্বক্ষণ কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। মার্কেটের সামনে যানবাহনের ভিড় ব্যবস্থাপনায়ও কাজ করছেন কয়েকজন।

 

গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার চিত্র এটি। এই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই এত আয়োজন সংশ্লিষ্টদের। বিক্রেতারা আরও জানান, এবার ঈদে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে দেশি পোশাক। ভারতীয় পোশাক না আসায় এবার বাজার দেশি ও পাকিস্তানি পোশাকের দখলে। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। তাছাড়া ব্র্যান্ডের পোশাকেরও দারুণ জনপ্রিয়তা আছে এবার।

 

সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক মীর মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন সিকদার বলেন, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটে সবসময় ন্যায্য মূল্যে পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়। তাছাড়া ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও আস্থার জন্য নামকরা এই মার্কেট। মূলত ঈদে যেন ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারেন, সেজন্যই সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

শনিবার এই শপিংমলে দুই সন্তানকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন একই এলাকার হাজিপাড়ার ৪৫ বছর বয়সী রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, প্রতিবছর এই মার্কেট থেকে আমি আমার তিন ছেলে-মেয়ে আর নিজেদের জন্য কেনাকাটা করি। সত্যি বলতে এখানে সবকিছু সাধ্যের মধ্যে পাই, মোটামুটি দরদাম করে নিতে পারি। দোকানদারদের ব্যবহারও ভালো।

 

সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির অফিস সচিব মাহমুদুল হক জামশেদ জানান, দশতলা ভবনের প্রথম তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত চারটা ফ্লোরে ৩০৬টি দোকানে চলছে ঈদের বেচাবিক্রি। এরমধ্যে নিচতলায় নারী-পুরুষের পোশাকের দোকান, কসমেটিকসের দোকান, কয়েকটি ব্র্যান্ডশপ ও খাবারের দোকান রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশুদের পোশাক ও কসমেটিকস পণ্যের দোকান। এছাড়াও তৃতীয় তলায় ক্রোকারিজ, ব্যাগ, জুতা, ঘড়িসহ নানা পণ্যের দোকান এবং চতুর্থ তলায় রয়েছে মোবাইল ফোনের দোকান।

 

তিনি আরও জানান, ঈদের মূল কেনাকাটা শুরু হয় রমজানের একেবারে শেষ দিকে। তবে রমজানের শুরু থেকেই মোটামুটি ভিড় রয়েছে ক্রেতাদের। সাধারণত দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা এবং ইফতারের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশি ভিড় থাকে ক্রেতাদের। চলাচলের সুবিধা, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই এই মার্কেটে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ক্রেতারা।

 

নগরীর হালিশহর বড়পোল থেকে স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে প্রতিবছর এখান থেকে বাসার সবার জন্য কেনাকাটা করি। এখানে সুবিধাটা হলো সব তো পাওয়া যায়-ই, দামও মোটামুটি নাগালের মধ্যে থাকে। আর ভিড় থাকলেও অনেকগুলো সিঁড়ি, চলাচল করতে সুবিধা। তাই কেনাকাটা করতে খুব বেশি ঝামেলা হয় না।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট