চট্টগ্রাম শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

তারুণ্যের পছন্দ ফিনলে স্কয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ষোলশহর ২নং গেট থেকে সামনে এগোতে দেখা যায় যানবাহন আর মানুষের দীর্ঘ জট। ঠেলেঠুলে সামনে এগোতে যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। কারণ হকার-অস্থায়ী দোকানিদের দখলে চলে গেছে রাস্তার বেশির ভাগ অংশ। এমন দৃশ্য দেখা যায়, নগরীর ষোলশহর ফিনলে স্কয়ার ও চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স এলাকায়।

 

আমাদের গন্তব্য হচ্ছে অভিজাত বিপণী কেন্দ্র ফিনলে স্কয়ার। ভিড় ঠেলে ফিনলের সামনে দেখা যায়, মানুষের প্রচুর ভিড়। জট সামলাতে ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীরা। নারী-পুরুষ, শিশু ও তরুণ-তরুণীরা দল বেঁধে ঢুকছে ফিনলে স্কয়ারে। দেখা যায়, মার্কেটে নানা শ্রেণি মানুষের ভিড় রয়েছে। নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়। কেউ তৈরি পোশাকের দোকানে, কেউ শাড়ি-থ্রি পিস আর কেউ গয়না দেখায় ব্যস্ত। তবে ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীদের ভিড় বেশি দেখা যায়।

 

মার্কেট কমিটির সদস্য ও দোকানিরাও বললেন, ইয়াং জেনারেশনের (নতুন প্রজন্ম) পছন্দের দেশি-বিদেশি অনেক শো-রুম রয়েছে। এছাড়া মার্কেটের সুপরিসর ফুডকোর্ট বেশি টানে তরুণ প্রজন্মদের। ঈদ ঘনিয়ে আসতেই এই বিপণী কেন্দ্রে জমে উঠেছে কেনাকাটা।

 

ফিনলে স্কয়ার শপ ওনারস এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক মো. আইয়ুব পূর্বকোণকে বলেন, ছয়তলার মার্কেটে সব বয়সী সব শ্রেণির মানুষের কেনাকাটার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে দেশি-বিদেশি ফ্যাশনের পোশাক ও জুতার অনেক প্রতিষ্ঠান। তাই ক্রেতাদের আকর্ষণ থাকে ফিনলে স্কয়ারে। তরুণ-তরুণীরা এখন অনেক ফ্যাশন সচেতন। তাদের চাহিদার সব ধরনের পোশাক রয়েছে এ মার্কেটে। তাই স্বচ্ছন্দে কেনাকাটায় নতুন প্রজন্মদের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে ফিনলে স্কয়ার।

 

দেখা যায়, ফিনলে স্কয়ারে সামনে রাস্তায় বসানো হয়েছে অস্থায়ী-হকারদের ভ্যান দোকান। নানা ধরনের পোশাক আর খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এসব দোকানেও ভালো কেনাবেচা চলছে। আর ফিনলে স্কয়ারে দেখা যায়, ঈদ ঘনিয়ে আসতে বেচাকেনা এখন জমজমাট। ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এই বিপণী বিতানের এক ছাদের নিচেই পাওয়া যাচ্ছে তৈরি পোশাক, শাড়ি-থ্রি পিস, জুতা, জুয়েলারি সামগ্রী ও ইলেকট্রনিকস পণ্য। রয়েছে খাবারের দোকান।

 

পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে আসেন চাকরিজীবী কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এখানে এক ছাদের নিচে সব বয়সী মানুষের পোশাক, সাজসজ্জার সামগ্রীসহ সব পাওয়া যায়। এ কারণে পরিবার নিয়ে এসেছি।

 

মার্কেটে রাহা ও রেডি ইরা নামে দুটি পোশাকের দোকান রয়েছে আবু নাঈম রাহার। তিনি বলেন, তার দোকানে শাড়ি, তৈরি পোশাক ও তরুণীদের জন্য লেহেঙ্গা, থ্রি-পিস, বাচ্চাদের পোশাক রয়েছে। বেচাকেনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

 

মার্কেটের তৃতীয় তলার ‘সিদরা’ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী তৌহিদুল আলম বলেন, কেনাবেচা মোটামুটি। কারণ অভিজাত মার্কেট হিসেবে দেশি-বিদেশি ভালো মানের পোশাকে সাজানো হয়েছে। দামি পোশাকও রয়েছে। আগে মানুষ একাধিক পোশাক কিনতেন। এখন একটি পোশাক কিনছেন। অর্থনৈতিক অবস্থার ছাপ পড়েছে ঈদবাজারে।

 

নিচতলার একটি দোকান থেকে পাঞ্জাবি কিনেছেন বোয়ালখালী থেকে আসা তরুণ মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, আগেও এ মার্কেট থেকে ঈদের কেনাকাটা করেছি। এ মার্কেটে পোশাকের বৈচিত্র্য রয়েছে।

 

মার্কেটের তিনতলায় রয়েছে ছেলেদের পোশাকের দোকান, দোতলায় শাড়ি, থান কাপড় ও নারীদের পোশাকের দোকান, তৃতীয় তলায় মেয়েদের তৈরি পোশাক, জুয়েলারি, ঘড়ির ও জুতার দোকান, চারতলায় পুরুষ ও শিশুদের তৈরি পোশাক ও শিশুর খেলনা সামগ্রীর দোকান। পঞ্চম তলায় জুতা, মোবাইল, ইলেকট্রনিকসের দোকান এবং ষষ্ঠ তলায় রয়েছে ফুড ও কম্পিউটার জোন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট