চৈত্রের কাঠফাটা রোদ্দুর মেখে ঈদে ঘুরাঘুরির জন্য দরকার আরামদায়ক পোশাক। গরমে আরাম খুঁজতে এবার দেশি পোশাকের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সুতি কাপড়ের তৈরি নানা ডিজাইনের আরামদায়ক সব দেশীয় পোশাক।
গতকাল নগরীর অন্যতম বড় শপিং মল বালি আর্কেড ঘুরে দেশীয় পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের এই আগ্রহ দেখা গেছে। বালি আর্কেডের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ‘শিক্ষা জোন’ হিসেবে পরিচিত চকবাজার এলাকায় অবস্থান হওয়ায় নগরীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক এই মার্কেটে তরুণ ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তাই তরুণদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই এবার ঈদ বাজারের কালেকশন সাজিয়েছেন তারা। বালি আর্কেডের এক ছাদের নিচে থাকা নামিদামি ২৫০টি ব্র্যান্ডের বেশিরভাগ শো-রুমে শোভা পাচ্ছে নানা ডিজাইনের দেশীয় সব পোশাক।
নিচ তলায় মার্কেটের প্রবেশমুখেই শৈল্পিক, স্বদেশপল্লী, জুনিয়রসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলো। মনোরম পরিবেশে থরে থরে সাজানো রঙ-বেরঙের পোশাকে ভরপুর প্রতিটি আউটলেট। স্বদেশপল্লীর বিক্রয় কর্মী আজাদ জানান, ঈদের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক তোলা হয়েছে। তবে এবার সুতির তৈরি দেশীয় পোশাকের চাহিদাই বেশি। গরমের সময় ঈদ পড়ায় মানুষ আরামদায়ক পোশাক বেশি চাচ্ছেন।
শৈল্পিক আউটলেটের সামনে কথা হয় পাঞ্জাবি কিনতে আসা নাভিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, বাইরে যানজট, ভীষণ গরম হলেও বড় স্পেস থাকায় বালি আর্কেডে কেনাকাটা করে আরাম। তাই পরিবারের জন্য এখানেই কেনাকাটা করতে এসেছি। দুটো পাঞ্জাবি নিলাম। দুটিই দেশি কাপড়ের। গরমে সুতি কাপড়ই আরাম।
বালি আর্কেডের খোলামেলা পরিবেশের মাঝে অত্যাধুনিক লিফট স্কেলেটর। সেটি বেয়ে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উঠতেই চোখে পড়ে সব প্রসাধনীর দোকান। রূপচর্চায় আগ্রহী তরুণীদের ভিড় ছিল এসব আউটলেটে। এখানের ‘আল্টিমেট কুইন’, ‘ক্রিমসন’, ‘মেক আপ জোন’সহ ৫-৭টি আউটলেট আছে রূপচর্চা প্রসাধনীর। পণ্যের মেয়াদ, দাম যাচাই করে প্রসাধনী কিনছেন নারীরা।
দ্বিতীয় তলায় লেডিস জোনে ঈদ উপলক্ষে পোশাকের উপর দেয়া হচ্ছে বিশেষ অফার। রয়েছে নানা পুরস্কারের আয়োজনও। লেডিস জোনের পাশাপাশি ভালো বেচা-কেনা দেখা গেছে শিশুদের পোশাক আশাকের দোকানেও। এছাড়া জুতা, ব্যাগ, বোরকা, হিজাবসহ সবই বিক্রি হচ্ছে সমান তালে।
পূর্বকোণ/ইব