নগরীর অফিসপাড়া আগ্রাবাদের আখতারুজ্জামান সেন্টারে ঈদবাজারে ক্রেতা টানতে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও এতে সাড়া দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে জমে উঠছে বেচাকেনা।
জানা যায়, ৩০০ টাকার শপিং করলেই মিলবে একটি কুপন। আর পুরস্কার হিসেবে আছে ল্যাপটপ, ডিপ ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ৩২ ও ২৪ ইঞ্চি স্মার্টটিভি, স্মার্টফোনসহ ১১০টি পুরস্কার। চাঁদ রাতেই অনুষ্ঠিত হবে মেগা ড্র। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে রাখা হয়েছে বাম্পার প্রাইজ। এতে আছে বিভিন্ন ধরনের গিফট ভাউচার।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটটিতে মেয়ে-ছেলে আর বাচ্চাদের দারুণ সব পোশাকের সম্ভার রয়েছে উৎসব, ব্ল্যাক স্টোন, বেবি ওয়ার্ল্ড, বেবি ডল, সাম্পান, মোস্তফা, কিডস আইসহ আরও বেশ কয়েকটি দোকানে। ছোট্ট সোনামণিদের রঙবেরঙের বাহারি পোশাকে সেজেছে সাম্পান। এখানে ছোটদের জন্য রয়েছে বিশেষ আয়োজন।
বিক্রয়কর্মীরা বলেন, ঈদের অনেক আগেই বাচ্চাদের জন্য দেশি-বিদেশি নানারকম ডিজাইনের বাহারি পোশাক কালেকশন করেছি। বেশ পছন্দ করছে সবাই। বেচাবিক্রিও কম নয়। আখতারুজ্জামান সেন্টারের দ্বিতীয় তলার পুরোটাই মহিলাদের কাপড়ের দোকান। যেখানে সব বয়সের নারীরা ইচ্ছেমতো কাপড় কিনতে পারবেন। পাকিস্তানি, ভারতীয়, মুম্বাই ইত্যাদি দেশের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
কাস্টমার কম হলেও বেচাকেনা ভালো জানিয়েছেন লাহোরীর বিক্রয় কর্মী জাহিদুল ইসলাম।
গত বছরের তুলনায় এবার অনেক আগেই নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, লুঙ্গি এসে গেছে বলে জানান জেক্স টেক্সটাইলের মালিক রাজেস।
বিশাল প্রিন্টের ফয়সাল বিন কবির বলেন, পাকিস্তানি ক্যাটালগের মধ্যে রয়েছে লাবিস, ক্রসস্টিস, ইন্ডিয়ানের মধ্যে রয়েছে বিপুলসহ বিভিন্ন ক্যাটালগের থ্রিপিস। এবার পাকিস্তানি কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি।
ছেলেদের পাঞ্জাবি ও শার্টের জন্য রয়েছে রুকুস ট্রেন্ড, মোহাম্মদ, হ্যান্ডসাম, স্মাইল ওয়ার্ল্ড, জেন্টেল পয়েন্ট, ইনোভেশন, প্রেট এ পর্টার, ওয়ার্ল্ড টার্চ, শৈল্পিক, ওয়েস্টার্ন লুক, জেন্টেল ম্যান, বিসমিল্লাহ। জুতার জন্য আরএক্স, সিলভার সো, পান্না সো, ইলেভেন ফ্যাশন, ডাটা বাজার। যেখানে ৫শ থেকে শুরু করে যেকোনো দামের জুতার কালেকশন রয়েছে।
মার্কেটটিতে বেচাকেনা ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানান তৃতীয় তলার নেভার সিনের স্বত্বাধিকারী মো. সারওয়ার কামাল। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার অনেক আগেই কসমেটিক, জুয়েলারি, লেডিস ব্যাগ, ঘড়ি এসে গেছে। পুরনো কোনো কালেকশনই নেই।
এদিকে আখতারুজ্জামান সেন্টারের টেইলার্স ও বুটিক হাউসগুলোতে এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। সব টেইলার্সে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। আর কর্মচারীরাও মহাব্যস্ত।
আখতারুজ্জামান সেন্টার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, রমজান উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বিক্রয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদ রাত পর্যন্ত আখতারুজ্জামান সেন্টার কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই, প্রতিদিন খোলা থাকবে।
পূর্বকোণ/ইব