চট্টগ্রাম সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

সানমার ওশান সিটি : এক ছাদের নিচে দুই ডজন নামি ব্র্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ মার্চ, ২০২৫ | ১২:২৭ অপরাহ্ণ

নগরীর চকবাজার থেকে ঈদের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে সানমার ওশান সিটিতে এসেছিলেন সায়েম রহমান। দোকানে দোকানে ঘুরছেন তিনি। কথার ফাঁকে সায়েম বলেন, কয়েকটি শো-রুমে ঘুরে দেখছি। দাম যাচাই করছি। শিক্ষার্থীতো- তাই বাজেটের চিন্তাও করতে হচ্ছে। গতবারও এখান থেকে পাঞ্জাবি নিয়েছি। সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারবো বলে আশাবাদী।

 

তার মতো সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে শপিং মলটিতে ঘুরছেন আরাফ নামে আরেক যুবক। বলেন, ঈদের জন্য মানানসই পোশাক পাঞ্জাবি। পছন্দের পাঞ্জাবির জন্য সানমার সিটিতেই সবগুলো নামি-দাবি ব্র্যান্ডের দোকান। তাই দেখছি, পছন্দ হলে এবং দাম হাতের নাগালে হতে নেব। ঈদের এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। এরমধ্যে আরাফ-সায়েমের মতো তরুণ-যুবকসহ নানা বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত সারা বছরই ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে থাকা সানমান ওশান সিটি। পোশাক, গহনা, জুতা থেকে শুরু করে হাজারো রকমের পণ্যের সমাহার এখানে।

 

ব্যবসায়ীরা জানিয়ছেন- কেন্দ্রীয় শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এ অভিজাত শপিং মলে একই ছাদের নিচে নামিদামি দুই ডজন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের শো-রুম থাকায় বরাবরের মতো এবারও জমজমাট শপিং মলটি। যার কারণে মার্কেটটি এখন সকাল ১০টা থেকে সেহরি পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছে।

 

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, তরুণ তরুণীদের ওয়েস্টার্ন পোশাকের বিপুল সমাহারের কারণে বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি দোকানেই রয়েছে নানা পণ্যের সমাহার। পোশাক, শাড়ি, জুতা, স্যান্ডেল, প্রসাধনী, গয়না, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সবই একসঙ্গে মিলছে এখানে। নামিদামি ব্র্যান্ড থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও আমদানি করা সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সব বাজেটের মানুষের জন্যই পোশাকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বরাবরের মতো শপিংমলের ফুড কোর্টে ইফতার সেরে আবার ঈদ কেনাকাটায় মেতে উঠেন অনেকে।

 

শপিংমলটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, টার্নিং পয়েন্ট, রাজস্থান, ট্রাফিক, লুবনান, জেন্টাল পার্ক, জেন্টাল ম্যান, এরিস, শৈল্পিক, ইজি, প্লাসপয়েন্ট, ইয়োলো, বড় সাহেব, কেটস আই, রিচ ম্যান, কে ক্রাফট, সারা, বাটা, এপেক্স, ওরিয়ন, ভাইব্রেন্টসহ দুই ডজনেরও বেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে।

 

স্যানমার ওশান সিটির ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আহসান উল্লাহ হাসান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সবগুলো দোকানেই নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যের সমারোহ আছে। রোজা শুরুর আগে ও পরে শিশুদের এবং মেয়েদের পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল। তখন অনেকটাই জমজমাট ছিল। যদিও এখন কিছুটা কম, তবে সামনে ভাড়বে। ক্রেতারা প্রতিদিন আসছেন, দেখছেন। আশা করছি ধীরে ধীরে সমাগম আরও বাড়বে।

 

অভিজাত এ শপিংমলে দেশ-বিদেশের নামিদামি যত ব্র্যান্ড আছে তারমধ্যে প্রায় অর্ধশত ব্র্যান্ডের অবস্থান। এক চাদের নিচেই সবকিছু মিলবে। ক্রেতারা তাদের মনেরমতো পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে পারবে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট