গেল কয়েকমাস ধরে অস্থির থাকা ভোজ্যতেলের বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আগের চেয়ে পণ্যটির সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দামও কিছুটা কমার কথা বলছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৪ সালের শেষদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির জেরে দেশের বাজারেও দাম বাড়ে ভোজ্যতেলের। সরকারিভাবে পণ্যটির দামের সমন্বয় করা হলেও আরও দাম বৃদ্ধির জন্য গোঁ ধরেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট নানা সংস্থার তৎপরতায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি করতে না পারলেও সরবরাহ কমিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন আমদানিকারকরা। এতে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় পণ্যটি। তবে রমজান ঘিরে সরকারের নানামুখী উদ্যোগে ফের স¦াভাবিক হতে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের বাজার।
শনিবার (১৫ মার্চ) দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে সায়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি (৩৬.৩২০ কেজি) ৬ হাজার ২৫০ থেকে ৬ হাজার ৩০০ টাকা দরে। আর পামতেল বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৫ হাজার ৬৬০ টাকা দরে। সপ্তাহ দু’য়েক আগেও এসব তেলের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকাম বেশি দরে বিক্রি হয়েছে নগরে।
চট্টগ্রামে ভোজ্যতেলের সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের পাইকারি তেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কিছুটা কমেছে। সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক আছে। সব মিল মালিকরা মোটামুটি সরবরাহ দিচ্ছে এখন।
এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। এতদিন বোতলজাত তেলের সংকট থাকলেও এখন পণ্যটির তুলনামূলক বেশি সরবরাহ পাচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, রমজানের শুরুতে মানুষ একসঙ্গে বাজার করে, তখন আমাদের ঠিকঠাকভাবে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হয়নি। তবে এখন সরবরাহ বেড়েছে কিছুটা। রুপচাঁদা, পুষ্টি এসব বোতলজাত সয়াবিন তেল নিয়মিতই পাচ্ছি।
পণ্যটির দামের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব বলেন, এক লিটার ওজনের সয়াবিন ১৮০ টাকা, দুই লিটার ২৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আগে দাম আরেকটু বেশি ছিল।
পূর্বকোণ/ইব