চট্টগ্রাম বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের বাইরের ২১ খাল খনন কার্যক্রম শুরু আজ

ইমরান বিন ছবুর

২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে থাকা নগরীর ২১টি খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি কমাতে চসিক এই খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে।

 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বড় কবস্থান এলাকার কৃষি খাল অংশে খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ধাপে ধাপে নগরীর ২১ খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করবে চসিক। এ কাজের জন্য এখনো পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন বরাদ্দ না পেলেও প্রাথমিকভাবে চসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

এদিকে, আজ বুধবার সকাল ১০টায় মোগলটুলী খাল পরিদর্শন করবেন চসিক মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান। চসিকের সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর আমলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারে একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি (বাস্তবায়নযোগ্যতা নিরীক্ষা) সম্পন্ন করার আগেই প্রকল্পটি ভেস্তে যায়।

 

নগরীর ৩৬টি খাল নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। সিডিএ’র ৩৬ খালের বাইরেও নগরীতে আরো ২১টি খাল রয়েছে। এই ২১ খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সিডিএ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ানিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এই প্রকল্পের বাইরে নগরীতে আরো ২১টি খাল রয়েছে। এসব খাল যদি খনন ও পরিষ্কার করা না হয়, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা এই ২১টি খাল খনন ও পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। বুধবার থেকে ধাপে ধাপে আমরা এই ২১ খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করবো।

 

এই ২১ খাল খনন ও পরিষ্কারের বিপরীতে অর্থ বরাদ্ধের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এসব খাল খনন পরিষ্কার বাবদ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা মোট তিনশ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। এরমধ্যে দুইশ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি ও গাড়ি বাবদ এবং একশ কোটি টাকা খাল পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম বাবদ। এখনো যদিও আমরা মন্ত্রণালয় থেকে কোন বরাদ্দ পায়নি।

 

মেয়র আরো বলেন, পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এই কাজ সিটি কর্পোরেশন করবে, তাহলে আমরা এই কাজ করবো। আর যদি স্থানীয় সরকার মনে করে এ কাজ সিডিএ বা সেনাবাহিনী করবে, তাহলে তারা করবে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট