ইসলামকে মানবতার মুক্তির জন্য পৃথিবীতে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন।
সোমবার রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে (শহীদ রজব আলী ময়দান) ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের প্রথম দিনের প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
তাফসিরুল কুরআন মাহফিল বাস্তবায়নে গঠিত শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের। দ্বীনের খেদমতে ত্যাগ ও কুরবানির উপর আলোচনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজসেবী আলাউদ্দিন সিকদার এবং ইসলামী শরীয়াহ’র বাস্তবায়নের নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা পেশ করেন ড. মোস্তফা হোসাইন শাহীন আজহারী।
প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের এই প্যারেড ময়দান শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হাতে গড়া ময়দান। তাঁর জীবনের যত আলোচনা সমস্ত আলোচনার মূল আলোচনা করেছেন এই ময়দানে। দীর্ঘ ৩২ বছর একটানা পাঁচদিন করে আলোচনা করেছেন। তাঁর কথা ইসলামের জন্য এক একটা গাঁথুনি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদী (রা.) বেঁচে থাকলে আজকে আমরা তাঁকে আবার পেতাম। আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদী একটি ইতিহাস। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাংলার জমিনে ইসলামী আইন কায়েম করা। আল্লামার সারাজীবনের আলোচনার মূল বার্তা ছিল সৃষ্টি যার আইন চলবে তার। আমরা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
রাসুলের (স.) আদর্শের আলোকে সাহাবীদের সংগ্রামী জীবন এবং মুমিন জীবনের অনুকরণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, রাসুলের (স.) সমগ্র জীবন আমাদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়। তাঁর সফল জীন্দেগীর অন্যতম হল ইসলামকে মানবতার মুক্তির জন্য পৃথিবীতে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। রাসুল (স.) তাঁর সাহাবিদের নিয়ে আল্লাহর নির্দেশে একটি কার্যকর ইসলামী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। যার মাধ্যমে মানবতা প্রকৃত মুক্তির দিশা পেয়েছিল। তাই আল্লাহ তা’য়ালা ইসলামী আন্দোলনকে মু’মিনদের জন্য ফরজ করে দিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, এই মাঠে ৫দিন ব্যাপী মাহফিলে তাফসির করতেন হযরত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। কিন্তু তিনি এখন আর নেই। তবে আমরা পাঁচ দিনে পাঁচজনকে রেখেছি। শেষদিন তাফসির করবেন তরুণ সমাজের আইডল ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
বিশিষ্ট সংগঠক আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, তাগুতি শক্তি কুরআনের আলোকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এখন কোরআনবিরোধী শক্তি পালিয়েছে। এদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে দেশে শান্তি আসবে।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা এবিএম সিদ্দিকুল্লাহ, পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি এড. সৈয়দ আনোয়ার, অধ্যক্ষ আ ন ম সলিমুল্লাহ, অধ্যক্ষ বদরুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন প্রমুখ।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ