চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারের কাছে নিয়মিত আরটিসি সভার আয়োজনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নগরীর দামপাড়ায় সিএমপির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সভায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা এসব দাবি জানান।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে নমনীয় হওয়া ও জরিমানার ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে বৈষম্য দূর করা; নগরে গ্রাম সিএনজি প্রবেশ ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ ও পার্কিং এরিয়া নির্ধারণের আগে ‘নো পার্কিং’ মামলা বন্ধ রাখা; আন্তঃজিলা রুটের গণপরিবহনের জন্য নগরীর প্রবেশপথগুলোতে টার্মিনাল প্রস্তুত হওয়ার আগ পর্যন্ত পাকিং এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া; টো (জব্দ) বাণিজ্য বন্ধ করা; নগরে সব ধরণের অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বৈধ যান চলাচলের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করা; সিলিং খালি থাকা সাপেক্ষে বিভিন্ন রুটে বাতিল করা বিভিন্ন গণপরিবহনের ফিটনেস ও টেস্ট টোকেন যাচাই করে নতুন করে পারমিট দেওয়া; নিয়মিত আরটিসি সভার আয়োজন করা; সড়ক দুর্ঘটনা ঘিরে গণহারে মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধ করা; পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন দখলের পায়তারাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা; এবং নগরে কোম্পানি ভিত্তিক বাস কাউন্টার স্থপনে বাধার মুখে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা- এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আসফিকুজ্জামান আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক মোরশেদুল আলম কাদেরী, উপদেষ্টা মিনাল চৌধুরী, সদস্য সচিব মো. মুসা, নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর) মোহাম্মদ কবীর আহমেদ, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) নিষ্কৃতি চাকমা প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম, আহাসউল্লাহ চৌধুরী, মো. মহি উদ্দীন, অলি আহাম্মদ, নুরুল ইসলাম, সৈয়দ হোসেন, মো. ফারুক খান, শওকত আলী, মো. হাবীব রহমান, অনু কাদেরী, মো. মোশারাফ হোসেন, রায়হান চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মো. আজম, মো. মনসুর, মো. জাহানগীর, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ