শীতের নানা সবজিতে ভরপুর বাজার। দামও ক্রেতাদের নাগালে। এতে স্বস্তি মিলছে কাঁচা বাজারে। তবে দাম কমে অর্ধ শতকে নেমে যাওয়া পেঁয়াজের ঝাঁজ ফের বাড়ছে। দুই সপ্তাহে ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা ছুঁয়েছে পণ্যটি। অন্যদিকে কাঁচা বাজার পেরিয়ে মাছ-মুরগির বাজারে যেতেই মলিন হয়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের মুখ। মাছ-মুরগি দুটোর দামই ‘আকাশছোঁয়া’।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নগরীর অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, কাজির দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে বিক্রি হওয়া শীতকালীন সবজির মধ্যে অধিকাংশের দামই ৩০ টাকার মধ্যে। এরমধ্যে ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ২০, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া ৩০, মুলা ২০, খিরা ও গাজর ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচা মরিচ, টমেটো, শিম ও বেগুন ৫০ টাকা, আলু ৪০-৬০, শিমের বিচি ১৪০, বরবটি ৭০ ও করলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় সবজি কিনতে আসা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন দাম একটু কম আছে। তাই ইচ্ছেমত বিভিন্ন সবজি কেনা যাচ্ছে। তবে সবজির দাম কমলেও মাছ-মুরগির দাম বাড়ছে। একটা কমলে অন্যটা বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।
গেল সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধির পর এ সপ্তাহে আরও ৫-১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। নগরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। এর বাইরে রসুন ২২০ ও আদা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্থির মাছের বাজার। এই সময়ে জাত ও আকার ভেদে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন মাছের দাম।
মাছের মধ্যে দাম বেড়েছে লইট্টা, বেলে, রুপচাঁদা, তাইল্যা, কোরাল, কাতলসহ বিভিন্ন মাছের। নগরে লইট্টা ৩০০, বেলে ৩০০-৪৫০, রুপচাঁদা এক হাজার, তাইল্যা ৫৫০, কোরাল ৬০০, রুই ৩৮০, কাতল ৩৫০ এবং লাল পোয়া মাছ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাড়তি দাম মুরগিরও। ব্রয়লার ২১০, সোনালি ৩৭০, লেয়ার ৩৫০ এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পূর্বকোণ/ইব