সংস্কার কাজের জন্য ৭২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ‘এক্সিলেন্স’ ফের অপারেশনে ফিরেছে। ফলে ৪ দিন পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এলএনজি সরবরাহ। চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েছে গ্যাসের চাপও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মহেশখালীতে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত ‘এক্সিলেন্স’ ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট গত ১ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ৪ জানুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। এতে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ কমে যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট তীব্র হয়ে উঠে।
পেট্রোবাংলার দেওয়া তথ্যানুযায়ী- এক্সিলেন্স বন্ধের আগের দিন গত ৩১ ডিসেম্বর দেশে এলএনজির সরবরাহ ছিলো ৮০২ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে এরপর ১ জানুয়ারি থেকে সেটি কমতে শুরু করে। ওইদিন এলএনজির সরবরাহ ছিলো ৫৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট। যা ২ জানুয়ারি ৫৬২, ৩ জানুয়ারি ৫৬৫ মিলিয়ন ঘনফুটে এসে দাঁড়ায়।
তবে এক্সিলেন্স অপারেশনে ফেরায় এখন এলএনজি সরবরাহ আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি রাত থেকেই এলএনজি সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। গতকাল সোমবার ৭৯০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন পূর্বকোণকে জানান, অপারেশনাল কাজে ফেরার পর এক্সিলেন্স দিয়ে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এর বাইরে সামিট দিয়েও ৫৪০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি এলএনজি মিলছে।
দেশে আমদানি করা এলএনজি কার্গো কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপন করা দুই ভাসমান টার্মিনাল দিয়েই খালাস করা হয়। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ‘এক্সিলেন্স’। অন্যটি দেশীয় সামিট প্রাইভেটের মালিকানাধীন ‘সামিট’। এ দুই টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটি এখন দৈনিক ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কাছাকাছি।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান- বিদ্যুৎ, সার, শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশে গ্যাস সরবরাহের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দৈনিক ৩ হাজার ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট, যা চাহিদার ৮২ শতাংশ। সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে দেশীয় উৎপাদন দৈনিক ২ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি গ্যাস এলএনজি আকারে আমদানি করা হয়।
পূর্বকোণ/ইব