চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কামানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
কয়েকদিন থেকেই তারা ৯ দফার বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলো হলো- ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে, বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে, অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করতে হবে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্তহামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন আমাদের সাথে ছলচাতুরি করছে। গত বৃহস্পতিবার প্রশাসন আমাদের সাথে বসে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। জুলাই আন্দোলনে চবির শহীদ তরুয়া, শহীদ ফরহাদের ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বৈষম্য চলবে না। আমাদের দাবি ছিলো ভর্তি ফি কমানো, প্রশাসন আমাদের বলেছিলো এ বিষয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ভর্তি আবেদন শুরু করবে না। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রশাসন আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ৯ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসন ভবন বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, পোষ্য কোটা চিরতরের জন্য বাতিল করতে হবে। এটা ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চাকরি করেন তাদের অন্তত একটা চাকরির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা এমন হাজারো শিক্ষার্থী আছে যাদের বাবা নেই, অনেকের বাবার কোনো চাকরিও নেই। তাহলে তাদের সাথে সব থেকে বড় বৈষম্য করছে প্রশাসন।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ