চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

অনিয়ম দূর করে চসিককে স্বাবলম্বী করতে চাই: মেয়র

বিজ্ঞপ্তি

৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:০৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করতে অতীতের হওয়া বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সাথে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি কমাতে হবে। এই দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সঠিক রেভিনিউ পাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চালাতে আমরা খুব বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। যার কারণে এই যে সমস্ত নিয়ম-কানুনকে ডেভিয়েট করে যে নির্দেশগুলো দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে সেগুলো বাতিল করতে হবে।

 

মেয়র বলেন, যেসব শপিং কমপ্লেক্সে, মার্কেটে যাদেরকে আমরা ভাড়া দিয়েছি যাদের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তির যেখানে বরখালাপ হয়েছে। যদি চুক্তিতে থাকে যার নামে দোকান বরাদ্দ তাকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে কিন্তু সে যদি আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে এই ধরনের চুক্তিগুলো নতুন করে অথবা এই চুক্তিগুলো আমরা বাতিল করতে পারি।

 

চসিকের বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, যত বিলবোর্ড আছে সমস্ত বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিল করে দিন। আমরা অনিয়মের কারণে খুব বেশি ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি বিলবোর্ডের। সেন্ট্রাল প্লাজাতে সাতটা বিলবোর্ড দেয়া হয়েছে। সাতটা বিলবোর্ডে তারা বছরে চার-পাঁচ কোটি টাকা ইনকাম করছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি বছরে মাত্র ২১ লাখ টাকা। আমার মনে হয় এইসব ব্যাপার নিয়ে আমাদেরকে খুব স্ট্রিক্টলি আগাতে হবে এবং আমরা সমস্ত বিলবোর্ড এবং সমস্ত সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি সব বাতিল করে নতুনভাবে নতুন বছরে আমরা এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।

 

চসিককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, আল্লাহর রহমতে আমরা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ফেরত পেয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম আল্লাহর অসীম রহমতে অলমোস্ট শেষের দিকে। আমরা বন্দর থেকে যে এক শতাংশ হারে মাসুল যেটা চেয়েছি সেটা পজিটিভলি আগাচ্ছে। আরেকটি সুখবর এখন বন্দরের দুইজন ভদ্রলোক ফিন্যান্সের যারা দায়িত্বে আছে তারা আমাদের সাথে দেখা করেছেন। বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে হোল্ডিং ট্যাক্স পায় তা বাণিজ্যিক হারে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। সম্ভবত সেটা ১৬২ কোটি টাকা বাৎসরিক হবে।

 

সবার সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমরা চাচ্ছি যে সিটি কর্পোরেশনকে একটা আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে । এটা হলে নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি সেবা করতে পারবো।

 

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট