চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার থেকে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) টোল আদায়ের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। উদ্বোধনের পর টোল প্রদানের মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন জনসাধারণ। বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল করলেও কোন টোল দিতে হয় না।
টোল আদায়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম। তিনি বলেন, এতদিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে কোন টোল দিতে হয়নি। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে টোল দিয়ে এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হবে। শুরুতে শুধুমাত্র এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোলের বুথ থাকবে। ধীরে ধীরে নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ১০টি টোলবুথ বসানো হবে।
কোন গাড়িতে কত টোল দিতে হবে : নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি চালকদের টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। কারের টোল ৮০ টাকা, জিপ গাড়ি ও মোইক্রোবাসের টোল ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও চার চাকা ট্রাক ২০০ টাকা করে, বাস ২৮০ টাকা, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা, কাভার্ডভ্যান চলাচলে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। খরচ বেড়েছে ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সংশোধিত প্রকল্প একনেকের সভায় অনুমোদিত হয়।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজই শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
পূর্বকোণ/ইব