চট্টগ্রাম সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিডিএর দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

 

গতকাল শনিবার দুপুরে সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান উন্নয়ন ও সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে ছিলেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান খান।

 

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সিডিএতে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমরা অবশ্যই দুর্নীতির বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। সিডিএ যে কাজগুলো অন্যায়ভাবে করেছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। এখন নতুন যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

 

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সম্পর্কে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। সিডিএ ও চসিক মিলে যদি তা সমাধানের রাস্তা বের করা যায়, তাহলে তো ভালো। আমাদের দেখতে হবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য কী কী করা যেতে পারে।

 

সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র জলাবদ্ধতা প্রকল্পে অনিয়ম, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প পেনিনসুলার পর্যন্ত আনতে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের তৎপরতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চট্টগ্রামের উন্নয়নে দুই সংস্থার সমন্বয়ে কাজের তাগিদ দেন।

 

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে চসিক এবং সিডিএ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। ইতোমধ্যে আমরা কয়েক দফা বৈঠকও করেছি। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। জলাবদ্ধতা প্রকল্প কাজটি সিডিএ’র নয়। এটি সিটি কর্পোরেশনের কাজ। ফ্যাসিবাদীরা নিজেদের সুবিধার জন্য প্রকল্পটি তারা নিয়ে নিয়েছে। এই প্রকল্প শেষ করার পর অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করতে হবে।

 

মেয়র আরো বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো কিভাবে পরিচালনা করা হবে এবং জনবল কোথায়। এসব বিষয় নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

 

আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় চাক্তাই ডাইভারশান খালসহ অনেক খালের পানি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে কাজের সুবিধার্থে। কিন্তু আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে যদি খালগুলো পানি চলাচলের জন্য উপযোগী করে দেয়া না হয়, তাহলে নগরবাসী জলাবদ্ধতা দুর্ভোগে পড়বে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট