চট্টগ্রামে মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিলাসবহুল নিশান সাফারি গাড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পশ্চিম খুলশীর ১ নম্বর রোডের হাছান টাওয়ার-১, রোজ ভ্যালি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়িটির গায়ে নিশান পেট্রোল লেখা থাকলেও গাড়িটির চেসিস নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইটে সার্চ করে নিশান সাফারি পাওয়া যায়।
কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িটির বর্তমান মালিকের প্রতিনিধি মো. পারভেজ উদ্দিন গাড়িটির আমদানি সংক্রান্ত কোন দলিলাদি কাস্টমস গোয়েন্দা টিমের কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানান সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন। তিনি আরও জানান, পারভেজ একটি হলফনামা উপস্থাপন করেন এবং তাতে দেখা যায়, মো. ওসমান গনি মেঘনা সিডস ক্রাসিং লি. এর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকায় গাড়িটি ক্রয় করেছেন, যাবতীয় কাগজপত্র বুঝে পেয়েছেন এবং সরকারি রাজস্ব সংক্রান্ত কোন জটিলতার উদ্ভব হলে তিনি তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বহন করবেন। কিন্তু কাস্টমস গোয়েন্দা টিমের কাছে তিনি গাড়িটির আমদানি সংক্রান্ত দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। মেঘনা সিডস ক্রাসিং লি. এর প্রতিনিধির সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারাও আমদানি/ক্রয় সংক্রান্ত দলিলাদি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাননি বলে জানান।
জানা যায়, গাড়িটির শুল্কায়ন সংক্রান্ত দলিলাদি চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হলে উক্ত ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরের বিপরীতে কোন বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি বলে জানানো হয়। একই সাথে কোন কোন আমদানি দলিলাদির ভিত্তিতে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে বিআরটিএ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তা জানাতে পারেনি। আমদানি সংক্রান্ত দলিলাদি না থাকায় সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে গাড়িটি আটক করে চট্টগ্রামের কাস্টমস গুদামে জমা প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শুল্ক ফাঁকির প্রাথমিক সন্দেহ থাকায় গত ১৭ নভেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দারা গাড়িটি সাময়িক আটক করে মালিকের পক্ষে মালিকের শ্যালক মো. পারভেজ উদ্দিনের জিম্মায় রেখেছিল।
মো. বিল্লাল হোসেন আরও জানান, গাড়িটির মোট আমদানি শুল্ক ৮২৭% এবং আনুমানিক শুল্ক-কর ১০ কোটি টাকা। শুল্ক ফাঁকি, মিথ্যা ঘোষণা অথবা ভিন্নতর উপায়ে চোরাচালানের মাধ্যমে দলিলাদি জালিয়াতি করে আনায় আটককৃত গাড়িটির বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ