চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘শাটলের ক্যাম্পাস’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী আজ

৫৯ বছরে ফরহাদ-তরুয়ার ক্যাম্পাস

চবি সংবাদদাতা

১৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হৃদয় তরুয়া ও শহীদ ফরহাদ হোসেনের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৯তম জন্মদিন আজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুগে যুগে দেশের ক্রান্তিলগ্নে ত্রাতার ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ‘শাটলের ক্যাম্পাস’ খ্যাত এই প্রতিষ্ঠান। মানসম্মত শিক্ষা ও সম্ভাবনা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় প্রতিষ্ঠালাভ করে।

 

বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িত এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছুকাল আগে প্রতিষ্ঠালাভ করা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুক্তিযুদ্ধে ১৬ জন শাহাদাতবরণ করেন। পাশাপাশি ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ সকল ছাত্র আন্দোলনে চবির সরব ভূমিকা ছিল। সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনে (যা ক্রমান্বয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়) এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহাদাতবরণ করেন দুই বীর। একজন ইতিহাস বিভাগের হৃদয় তরুয়া; অন্যজন একই বিভাগের মো. ফরহাদ হোসেন।

 

এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য, যারা রাজপথে লড়াই করে আন্দোলনকে শক্তি জুগিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াহইয়া আখতার। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান (একাডেমিক) ও অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন (প্রশাসন)। বর্তমানে শিক্ষক ৯৯৩ জন, শিক্ষার্থী আছেন ২৭ হাজার ১৩৯ জন। চারটি বিভাগ নিয়ে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান বিভাগ সংখ্যা ৪৮টি, অনুষদ ৯টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত আছে। ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৫টি হল রয়েছে, আছে দুটি হোস্টেলও। পাহাড়েঘেরা এ সুবিশাল ক্যাম্পাসের মোট আয়তন দুই হাজার ৩১২ একর।

 

এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ দুই শিক্ষার্থীর কথা স্মরণে রেখে এ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের রক্ত এখনও শুকায়নি।

 

তিনি আরও বলেন, তাই শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা চিন্তা করে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে আমরা এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সবসময়ের ন্যায় এবারও আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা রাখা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট