চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

পণ্য ধ্বংসে বন্দরের বরাদ্দকৃত জায়গায় কাস্টমসের অসম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ১:৪৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে যেসব আমদানিকৃত পণ্য খালাস না হওয়ায় পচে গেছে, নষ্ট হয়েছে কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ, ক্ষতিকর, আমদানি নিষিদ্ধ ও ব্যবহার এবং খাবার অনুপযোগী হয়েছে সেসব পণ্য ধ্বংস করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা।

 

উপযুক্ত জায়গার অভাবে অনেক পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিল না পণ্য ধ্বংসের নিয়োজিত কমিটি। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি জায়গা চেয়ে আবেদন করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারই প্রেক্ষিতে নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহরে সাগর পাড়ের একটি জায়গা তিন মাসের জন্য বরাদ্দ দেয়। তবে সেই জায়গা পণ্য ধ্বংসের জন্য অনুপযোগী উল্লেখ করে পুনরায় বন্দরে কাছে উপযুক্ত জায়গা চেয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পণ্য ধ্বংসের নিয়োজিত কমিটি।

 

গত সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে পণ্য ধ্বংসের নিয়োজিত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, ধ্বংস কমিটির কয়েকজন সদস্য বন্দরের বরাদ্দকৃত জায়গাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সেখানে দেখা যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই জায়গায় আরসিসি ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ করেছিলেন। এমনকি জোয়ার ভাটা চালাকালে সেখানে পানি আসা যাওয়া করায় ওই ব্লক পর্যন্ত কাঁচা ও কাঁদা মাটিতে পরিপূর্ণ। তাই ওই জায়গায় চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন অফডক থেকে ২০ এবং ৪০ ফুটের কনটেইনারবাহী ট্রেইলার আসা যাওয়া করতে পারবে না। এছাড়া ওই জায়গায় ক্রেনসহ হেভিওয়েট ইক্যুইপমেন্ট নেওয়াও সম্ভব নয়।

 

সভায় ওই জায়গার কিছু ভিডিও চিত্রও দেখানো হয় ধ্বংস কমিটির সদস্যদের। এরপর সকল সদস্যের মতামতের প্রেক্ষিতে ওই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করা সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত নেয় পণ্য ধ্বংস কমিটি। পাশপাশি সভা থেকে পুনরায় বন্দরের কাছে বিকল্প উপযুক্ত জায়গা চেয়ে আবার আবেদন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এদিকে একই সভায় ২১ কনটেইনার পচা/নষ্ট পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী রবিবার থেকে সেই ধ্বংস কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। তবে এইসব পণ্য কনটেইনার নিয়ে নয়, বরং ড্রাম ট্রাকে করে কনটেইনার থেকে পণ্য নিয়ে হালিশহরে সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে এনে ধ্বংস করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

সভায় ধ্বংস কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট