এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত ১৪ র্যাম্পের মধ্যে টাইগারপাসসহ ৫ র্যাম্পের কাজ আপাতত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সোমবার সিডিএ’র বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের সভাপতিত্বে সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেশিরভাগ সদস্য যানজট সৃষ্টি হবে এমন ধারণা থেকে র্যাম্প নির্মাণ না করার পক্ষে মত দেন। অন্যদিকে, বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নতুন করে টোলের হার নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
যে পাঁচ র্যাম্পের কাজ আপাতত হবে না সেগুলো হচ্ছে- টাইগারপাস অংশে মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী সড়কের পলোগ্রাউন্ডের দিক থেকে ওঠার র্যাম্প, আগ্রাবাদের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে নামার র্যাম্প, কেইপিজেডে নামার র্যাম্প এবং আগ্রাবাদের এক্সেস রোডের ওঠা-নামার দুটি র্যাম্প।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ১৪ র্যাম্পের মধ্যে আপাতত ৫ র্যাম্প নির্মাণ করা হবে না। ভবিষ্যতে যদি নগরবাসী মনে করে ওই ৫ র্যাম্প নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আছে, তখন সেগুলো নির্মাণ করা হবে।
টোলের হার নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, টোলের একটা হার আমরা প্রস্তাব করেছি। এটা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই কার্যকর হবে।
নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে কাজ করছে দেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের র্যাঙ্কিন। প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। গত ২৮ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরু হয়। টোলের হার নির্ধারণ করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচল করবে।
পূর্বকোণ/পিআর