চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সাড়ে চার বছর ধরে বন্ধ চসিকের একমাত্র এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রাম নগরীর একমাত্র এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ির) ফুটওভার ব্রিজ। ২০২০ সালে নির্মিত নগরীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই ফুটওভার ব্রিজটি কোন কাজেই আসছে না নগরবাসীর। নির্মাণের দুই মাস পর থেকে ফুটওভার ব্রিজটি তালাবদ্ধ।

 

করোনাভাইরাস ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে সেই সময়ে ফুটওভার ব্রিজটি বন্ধ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। কোন তদারকি না থাকায় ফুটওভার ব্রিজটির বিভিন্ন অংশ চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে জাকির হোসেন সড়কের চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল অংশে মিড আইল্যান্ড নির্মাণ হলে ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করতে মানুষ বাধ্য হবে বলে জানান চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন।

 

চসিক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি এস্কেলেটরযুক্ত ফুটওভার ব্রিজটির উদ্বোধন করা হয়। এটিই নগরীর একমাত্র ও প্রথম চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজ। এটির দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট। এই ফুটওভার ব্রিজটিতে ওঠার জন্য লাগানো হয়েছিল দুটি এস্কেলেটর। তবে নামার জন্য রাখা হয়েছে সাধারণ সিঁড়ি। ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে চসিকের ব্যয় হয় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। উদ্বোধনের দুই মাসের মধ্যে করোনা মহামারির অজুহাতে এটি তারা বন্ধ করে রাখে। এরপর থেকে আর খোলা হয়নি। তবে উদ্বোধনের সময় বলা হয়, ফুটওভার ব্রিজটি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।

 

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে আসা রোগী-স্বজনদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্যই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সাধারণ সিঁড়ির পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজটিতে যুক্ত করা হয় এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিঁড়ি চালুর মাত্র দুই মাসের মধ্যে সেটি বন্ধ করে সিঁড়ির দুই পাশের ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তালা।

 

মো. শামসুল আলম নামে এক পথচারী বলেন, শুনেছি ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের দুই মাসের মাথায় বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে কী কারণে বন্ধ করেছে জানা নেই। ফুটওভার ব্রিজটি চালু থাকলে পথচারীদের সড়ক পারাপারে সুবিধা হতো। এখন রাতে এখানে মাদকসেবীদের আড্ডা হয়। বিভিন্ন যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে। জানতে চাইলে চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে খুব একটা ব্যবহৃত হয়নি। এটি সেখান থেকে অন্য কোন জায়গায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও জটিল ও ব্যয়সাপেক্ষ।

 

তিনি আরও বলেন, জাকির হোসেন সড়কে মিড আইল্যান্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই সেখানে মিড আইল্যান্ড নির্মাণ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর কোন পথচারী ফুটওভার ব্রিজ উপেক্ষা করে সড়ক পারাপার করতে পারবে না।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট