ক্যম্পাসের ভিতর থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় সিভাসুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমাজের ব্যানারে বিশেষ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে সকল দুর্নীতির ধামাচাপা দেওয়া এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের পূনর্বাসনের জন্য একটা চক্র চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের একজন শিক্ষককে উপাচার্য করে আনার জন্য ষড়যন্ত্র করতেছে। এই ষড়যন্ত্রের একমাত্র উদ্দেশ্য ক্যম্পাসের ভিতরে এতদিন ধরে চালানো দুর্নীতির তদন্ত প্রতিহত করা এবং বৈষম্যবিরোধী গণজাগরণকে প্রতিহত করা। আমরা তা হতে দিব না।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা হলে তা চট্টগ্রাম শহরকে অস্থির করে তুলবে। বিগত পতিত সরকারের দোসররা সুকৌশলে সেই অস্তিরতা তৈরি করতে চাই। আমরা বৈষম্যবিরোধী সচেতন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমাজ কিছুতেই তা হতে দিব না। আমাদের দাবি একটাই সিভাসুর বাহির থেকে এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগী কোন উপাচার্য সিভাসুতে যাতে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা না হয়।

বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের এবং ফ্যাসিবাদের দোসর কোন শিক্ষককে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থির করার চেষ্টা রুখে দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি যার মধ্যে অন্যতম হল ১) ৪ অক্টোবর রাত ৯টায় সিভাসুতে ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে মশাল মিছিল করা ২) সিভাসুর ভিতর থেকে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস, পরীক্ষা, সেমিনার এবং সকল প্রকারের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন ৩) শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ৪) রবিবার থেকে সিভাসুর ভিতর থেকে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন।

আজকের প্রতিবাদ সভায় জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সিভাসুর সমন্বয়কগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা যোগদান করেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে সিভাসুর আশেপাশে অবস্থানকারী কয়েকশত সাবেক শিক্ষার্থী একাত্মতা প্রকাশ করেন। একই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দপ্তরে কর্মরত অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

পূর্বকোণ/জেইউ