চট্টগ্রাম সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কনকর্ডে রাইড দুর্ঘটনায় শিশুর হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

ফয়’স লেক কনকর্ডে রাইড দুর্ঘটনায় এক শিশুর হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিনোদন কেন্দ্রে সি -ওয়ার্ল্ড চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি মামলা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব-এর আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডিকে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন, নগরের ফয়’স লেকে কনকর্ড গ্রুপের বিনোদনকেন্দ্র সী–ওয়াল্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার কামাল, মোহাম্মদ সাজ্জাদ এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক ও ঢাকার গুলশান থানার কনকর্ড সেন্টারের ফয়’স লেক কনকর্ড।

 

বাদীর আইনজীবী সুলতান মোহাম্মদ ওয়াহিদ পূর্বকোণকে বলেন, ফয়’স লেক কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ডে রাইডে ওঠতে গিয়ে এক শিশুর আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও শিশুটিকে চিকৎসা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল কনকর্ড। কিন্তু কনকর্ড গ্রুপ ক্ষতিপূরণ বা চিকিৎসা দেয়নি। উল্টো শিশুটির পরিবারকে হুমকি দেয়। শিশুটির মা সখিনা বেগম মামলাটি করলে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও আালত নির্দেশ দিয়েছেন।

 

অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাদীর শিশুপুত্র সাজ্জাদ হোসেন, ভাতিজা মো. মিয়াদ এবং বোনের ছেলে মো. জিবরান ফয়’স লেক কনকর্ড সী ওয়ার্ল্ডে যায়। সাজ্জাদ স্লাইডিং রাইডে উঠলে স্লাইডারের ভাঙা ধারালো অংশে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন সাজ্জাদের আর্ত- চিৎকারে সী-ওয়ার্ল্ডের দায়িত্বে থাকা কর্চারিরা ছুটে আসে। কনকর্ড শিশুটির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি য়ে। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। পরে শিশুটিকে নিজ খরচে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বিচ্ছিন্ন হওয়া আঙুল জোড়া লাগাতে আঙুলের অংশ উদ্ধার করতে বলেন। শিশুটির মা সখিনাসহ আরও দুইজন আঙুল উদ্ধারে সী-ওয়ার্ল্ডে ছুটে যান। সেখানে কনকর্ডের কর্মচারীরা তাদেরকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকার চেয়ারম্যান এবং এমডি এঘটনা গোপন রাখতে বলেছেন এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া আঙুল ফেরত দিতেও মানা করেছেন। ঘটনা গোপন রাখলে তারা শিশুর চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করবে। পরে ২৪ মার্চ কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ডে চিকিৎসা ব্যয়ের সহায়তা চাইলে আসামিরা কোন অর্থ সহায়তা দেবে না উল্লেখ করে বাদীকে হুমকি দেন। এঘটনায় এবছর ১৯ আগস্ট বাদী প্রতিষ্ঠানটিকে লিগ্যাল নোটিস দেন। এতেও কোনরূপ সাড়া না পাওয়ায় বাদী বাধ্য হয়ে মামলাটি করেন।

 

এবিষয়ে ফয়’স লেক কনকর্ড কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ পূর্বকোণকে বলেন, কনকর্ডকে হয়রানির উদ্দেশ্যেই বাদী মামলাটি করেছেন। তিনি বলেন, নিছক এক দুর্ঘটনায় শিশুটি আহত হয়। শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্য্যভার কনকর্ড বহন করেছে। তিনি বাদীর অভিযোগ সত্য নয় বলে উল্লেখ করেন।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট