চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাঝ আকাশে বিমানের উইন্ডস্ক্রিনে ফাটল, ফিরে গেল দুবাইয়ে

ইউএই প্রতিনিধি

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪২ অপরাহ্ণ

দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর উইন্ডস্ক্রিনে ফাটল দেখা দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে ২৪৪ জন যাত্রী নিয়ে দুবাই ফিরে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ।

 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বিজি-০৩৪৮ ফ্লাইটটি ঢাকা আসছিল। এটি ছিল বোয়িং 787-8 জেট এয়ারক্রাফট।

 

বিমানের দুবাইস্থ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা জানিয়েছেন, যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন এবং তাদের জন্য ঢাকা থেকে একটি রেসক্যু ফ্লাইট আসছে যা স্থানীয় সময় বিকাল ৩ টা ১০ মিনিটে দুবাই অবতরণ করবে এবং রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটার দিকে যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা রওনা হবে।

কি ধরনের কারিগরি ত্রুটির কারণে তা ফেরত আনা হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এয়ারক্রাফটির ফ্রন্ট উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক দেখা দিয়েছিল, তাই ফেরত আসতে হয়েছে।

 

এ সমস্যা উড্ডয়ন এর আগে কি চিহ্নিত করা যায়নি? তার উত্তরে তিনি বলেন, এ ধরনের সমস্যা আগে থেকে ট্রেস করা গেলে ফ্লাইট বাতিল করা হতো। সমস্যাটা ‘আনফরসিন’।

 

গতকাল দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত যাত্রীরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন, তাদের কি হোটেল দেয়া যেত না এ প্রশ্নের জবাবে সাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রথমত আমরা এত যাত্রীকে একসাথে একোমোডেট করার মত হোটেল রুম পাইনি। তাছাড়া ঢাকা থেকে ঠিক কোন সময়ে রেসক্যু ফ্লাইট এসে পৌঁছাবে সে বিষয়টি আনসারটেইন ছিলাম। যাত্রীদের বিমানেই একবার ডিনার দেয়া হয়েছিল, আমরা সকালে তাদের ব্রেকফাস্ট দিয়েছি, দুপুরে লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ জন শিশু ও মহিলা যাত্রীকে এয়ারপোর্টের মারহাবা লাউঞ্জে বিশ্রামের জন্য আনা হয়েছে। এরই মধ্যে ৭ জন যাত্রী ফ্লাইট ক্যান্সেল করে ফিরে গেছেন। আমি নিজেই ফ্লাইট ডিপারচার না করা পর্যন্ত দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবস্থান করছি।

 

ফ্লাইটের যাত্রী কুমিল্লার লাকসামের চিকুনিয়া ইউনিয়নের মুদাফফরগঞ্জ গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. মিজান হোসেন বলেছেন, বিমান ওমানের আকাশসীমায় থাকার সময় ক্যাপ্টেন ঘোষণা দেন যে, বিমানের সামনের গ্লাসে সামান্য প্রবলেম দেখা দিয়েছে তাছাড়া বাংলাদেশের আকাশের অবস্থা ভালো না সেজন্য আমরা আবার দুবাই ফিরে যাচ্ছি। তিনি বললেন এয়ারপোর্টে একটু অসুবিধা তো হচ্ছেই কিন্তু তা আমরা মেনে নিয়েছি।

 

কক্সবাজারের ঈদগাহর যাত্রী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন থাকেন আমিরাতের উম্ম আল কুইয়ানে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গতকাল রাত থেকে না ঘুমিয়ে আছি। আজ সকালে ঢাকা থেকে দুপুরে পৌনে ১২টায় আমার ঢাকা-কক্সবাজার কানেক্টিং ফ্লাইট ছিল। এখন ঢাকা পৌঁছে আমাকে আরো একরাত এয়ারপোর্টে কাটাতে হবে কক্সবাজারের কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য। এই দুর্ভোগ কপালে ছিল তাই বিমানে টিকেট করেছি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট