চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় শত শত আন্দোলনকারীর স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা। দুপুর একটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় অবস্থান নেন।
এ সময় তারা চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, লুটপাট এবং হয়রানিসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘দেশের এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এবং ক্রান্তিলগ্নে যারা চাঁদাবাজি বা লুটপাট করবে ছাত্রসমাজ তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করবে। হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি সে বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, লুটপাট এবং কোনো ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না। আবু সাঈদের রক্ত, মুগ্ধের রক্ত, ওয়াসিমের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে কেউ এ রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে নিয়ে যাবে সেটা হতে দেব না।’
সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘এ বীর চট্টলায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটের জায়গা হবে না। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের আমরা কঠোর হুঁশিয়ারী দিচ্ছি। আমরা ছাড় দেব না। আমরা প্রত্যেকেই রক্ত দিয়েছি এ বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য। কোনো স্বার্থের জন্য রক্ত দিইনি। এ বাংলাদেশে যে বা যারাই সিন্ডিকেট করুক আমরা সংঘবদ্ধভাবেই তাকে প্রতিহত করব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরুতে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও গত ১৬ জুলাই থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সহিংসতায় চট্টগ্রামে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ