বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের কোনো পে-অর্ডার, চেক বা ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসব ব্যাংক হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এরমধ্যে ৭টি ব্যাংক আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়ন্ত্রণ করেছে এস আলম গ্রুপ। তাদের ব্যাপক অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির ফলে এই ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর অস্থিতিশীল আর্থিক অবস্থার ঘটনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার মোহাম্মদ আবদুস শাকুর বন্দরের সকল বিভাগীয় প্রধানকে দেওয়া চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন। চিঠিতে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, বিনিয়োগের বিপরীতে এসব ব্যাংক থেকে সুদ রিটার্ন না পাওয়ায় বন্দর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুদ দিতে এসব ব্যাংককে নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। যা ব্যাংকিং সুলভ আচরণ পরিপন্থী।
এই প্রেক্ষাপটে, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোতে আমানত রাখতে নিরাপদ বোধ করছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমানতও তুলতে পারছে না।
এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি চিঠি দিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করতে বাধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও যোগাযোগ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ