চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

তদন্তে ঘুষের প্রমাণ প্রকৌশলী বরখাস্ত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ঠিকাদারকে কাজ দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী জয়নাল আবেদীনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৮ আগস্ট চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রিফাতুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পরও অপেশাদার কার্যকলাপের জন্য তাকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানা যায়।

 

চসিক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠে ২০২০ সালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তা উন্নয়নে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার কাজে ৬১ লাখ টাকা ঘুষ নেন চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রিফাতুল করিম চৌধুরী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী জয়নাল আবেদীন।

 

অভিযোগে বলা হয় সংস্থাটির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী জয়নাল আবেদীন ঠিকাদার আয়নুল হাসান ওরফে হাসান মোল্লার কাছ থেকে নিজ হাতে নগদ ৪২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়াও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ঘুষ হিসেবে জমা দেওয়া হয় আরও সাড়ে ১০ লাখ টাকা।পরবর্তীতে সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি অভিযুক্ত দুই প্রকৌশলীকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে গত ১২ জুন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস পর গত ২৯ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গত ১৮ আগস্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী জয়নাল আবেদীনকে সাময়িক বরখাস্ত করে চসিক। যদিও তদন্তে ঠিকাদারের কাছ থেকে নগদে ৪২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া সাড়ে ১০ লাখ টাকার প্রমাণ পায়।

 

চসিকের তদন্তে ঘুষ নেওয়ার সত্যতা মেলায় অভিযুক্ত দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুটি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যে পরিমাণ অর্থ ঘুষ হিসেবে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি, তা প্রমাণিত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী জয়নাল আবেদীনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু অপেশাদার কার্যকলাপের জন্য তাকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট