চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাইল ছবি

মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (১৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।

 

এর আগে একই আদালতে গত ১৪ আগস্ট জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছিল।

 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক মজুমদার জানান, গত ১৪ আগস্ট মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছিল। শুনানি শেষে রবিবার (১৮ আগস্ট) আদালত জামিনের আদেশের জন্য রেখেছিল। আদালত রবিবার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন। এই মামলায় ৫১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

 

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। ঘটনার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি জানান, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে টার্গেট করা হয়ে থাকতে পারে।

 

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মামলাটি তদন্ত করছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেন। মামলা তদন্তে গিয়ে বাবুল আক্তারকে ২০২১ সালের মে মাসের ১১ তারিখ হেফাজতে নেন তারা।

 

পর দিন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, মামলায় তারা বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। ওইদিনই মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক (৪১), মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু (২৮), মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।

 

২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। সাবেক এসপি বাবুল ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট