কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ, নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় হওয়া ৩৩ মামলায় গতকাল সোমবার আরও ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১২ এবং নগরীতে ৩৪ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে গত ১৪ দিনে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ৯৬৬ জন।
এছাড়া সোমবার (২৯ জুলাই) কোতোয়ালী ও পাহাড়তলী থানায় নতুন করে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এই নিয়ে নগরীতে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ২২।
মামলার বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম ওবায়দুল হক বলেন, পুলিশের ওপর হামলা আর কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে এজাহারনামীয় ও তিন থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয়দের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাহাড়াতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ বলেন, নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় এজহারনামীয় ৪৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৬০ থেকে ১৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নগরীর একটি ভবন থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের ফেলে দেওয়া ও মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এখন পর্যন্ত নগরীতে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় ২২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনসহ মোট ৫৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ মোট ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ