১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কোটা পুনর্বহাল ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও ছাত্র সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী ও আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা অতিদ্রুত তাদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ইউসুফ রোমান বলেন, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর যেখানে সংবিধানে চাকরির কথা বলা হয়েছে, সেখানে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশে সরকারি রেজিস্ট্রেশনে মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২৭ হাজার। আমাদের কোটা বাতিল করলে একটা বৈষম্য করা হবে। আমরা খুবই কষ্টের মাধ্যমে পড়াশোনা করি। কিন্তু আমরা ভালো নেই। আমাদের চাকরি নেই। সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে অনগ্রসর মানুষদের জন্য চাকরির নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে। তাই আমাদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা পুনর্বহাল করতে হবে কেননা তারা অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী। সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের ১% কোটা হাস্যকর। আমরা আমাদের ৫% কোটা চাই। মুক্তিযোদ্ধাদের আপনারা ৩০% কোটা দিচ্ছেন তারা কি অনগ্রসর জাতি? যারা অনগ্রসর তাদের দিচ্ছেন মাত্র ১%।
আদিবাসী শিক্ষার্থী বিলাস ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কাপ্তাই বাঁধের কারণে ৫৪ হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্বাধীনতার পরে আমাদের বলা হলো আপনাদেরকে বাঙালিতে প্রমোশন দিলাম, যা একটা চরম বৈষম্যমূলক। আদিবাসীদের কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তারাও দেশের নাগরিক। তারাও ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করে। তাই তাদেরকে সরকারি চাকরিতে কোটার সুযোগ দিতে হবে।
পূর্বকোণ/পিআর