চট্টগ্রাম রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

‘বাংলা ব্লকেড’, দুই নম্বর গেট ও লালখানবাজার অবরোধ

চবি সংবাদদাতা

৭ জুলাই, ২০২৪ | ৯:৩৭ অপরাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ২ নম্বর গেট চার রাস্তার মোড় ও লালখানবাজার মোড় অবরোধ করেছে চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধ থেকে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে ঘোষণা করেন দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক।

 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা শহরের ষোলশহর স্টেশনে জড় হন। পরে মিছিল নিয়ে দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নেয়।

 

এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, চকবাজার ও নিউমার্কেট সড়ক সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। দুই নম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ৬টার দিকে মিছিল যোগে নগরীর লালখান বাজার মোড়ের দিকে যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম নগরী পুরো বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয়ে তীব্র জ্যামের, ভোগান্তিতে পড়েন অফিস ফেরত হাজারো মানুষ।

 

অবস্থান কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর মুখে সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; মেধা না কোটা? মেধা- মেধা, মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না; কোটার বিরুদ্ধে -লড়াই হবে একসাথে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই; চবি আসছে, রাজপথ কাঁপছে; কোটার বৈষম্য; মানি না, মানবো না; আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; ৭১ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার প্রভৃতি স্লোগান শোনা যায়।

 

শিক্ষার্থীরা তাদের চারটি দাবিতেই অটল রয়েছেন। এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

 

এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

 

দুই. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

 

চার. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

আন্দোলনে আসা নাবিল মাহমুদ বলেন, প্রয়োজন হলে টানা রাজপথে অবস্থান করবো। কিন্তু কোটা বাতিল না করে আমাদের আন্দোলন থামবে না। কোটা যদি বহাল থাকে তা হবে এসময়ের সবচেয়ে বড় বৈষম্য। আমরা জীবন দিবো, কিন্তু বৈষম্য মেনে নিব না।

 

চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী সোয়াইব হাসান বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না। মেধাবীদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা না হলে দেশ থেকে একসময় মেধাপাচার হয়ে যাবে এতে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হব ঠিক তেমনি আমাদের এই দেশেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 

 

পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট