চট্টগ্রাম রবিবার, ০৭ জুলাই, ২০২৪

মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা যে কোন সময়

তিন ফর্মুলায় এগুচ্ছে হাইকমান্ড

মোহাম্মদ আলী

৪ জুলাই, ২০২৪ | ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময়। গত ১৩ জুন মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ২০ দিন ধরে নেতৃত্ব শূন্য সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি চান। নতুন কমিটিতে পদ পেতে বসে নেই পদপ্রত্যাশীরাও। তারাও নানাভাবে তদবির চালাচ্ছেন।

 

এদিকে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে নানামুখী কথা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে নানা মেরুকরণের কথাও। আবার ত্যাগী নেতাদের অনেকের কথার সুরে দেখা গেছে হতাশাও। এ মুহূর্তে নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকজন হলেন, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাইফুল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা নাজিমুর রহমান, বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, নগর যুবদলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর বিএনপি’র এক নেতা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপর নির্ভর করছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কমিটির আকৃতি কিংবা কারা দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন। তবে প্রাথমিক যে তথ্য পেয়েছি তাতে তিন ফর্মুলায় হতে পারে নতুন কমিটি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে ডা. শাহাদাত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল হাশেম বক্কর পুনঃবহাল থাকতে পারেন। দ্বিতীয় ফর্মূলা হচ্ছে- সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সভাপতি এবং নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজিমুর রহমান হতে পারেন সাধারণ সম্পাদক। তৃতীয় অপশন হচ্ছে- নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ সভাপতি ও নাজিমুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে কি ধরনের কমিটি ঘোষণা আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে কোন কারণে মহানগর কমিটিতে ডা. শাহাদাত হোসেন কিংবা আবুল হাশেম বক্কর না থাকলে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।

 

এদিকে বিএনপির একটি সূত্র হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত না থাকা নগর বিএনপির সুবিধাবাদি একটি গ্রুপ দলের হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে নতুন কমিটিতে ফায়দা লুটতে চায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে গ্রুপটি সফল হলে মূল পদ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ত্যাগী নেতাদের অনেকে। তাতে চরম মূল্য দিতে হতে পারে বিএনপিকে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট