চট্টগ্রাম রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ

ছোটমণি নিবাসেই ‘ঠাঁই হতে যাচ্ছে’ শিশুটির

নাজিম মুহাম্মদ

২৭ জুন, ২০২৪ | ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

জন্মের পর থেকে জোটেনি বাবা-মায়ের আদর। মিলেনি মায়ের বুকের একফোঁটা দুধও। হাসপাতালের চিকিৎসক-আয়াদের যত্নে হাসপাতালেই বেড়া ওঠা ফুটফুটে সেই শিশুটির বয়স এখন ১১ মাস। এ অবস্থায় শিশুটিকে নগরীর রৌফাবাদ ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদনও করেছে পুলিশ। আদালতের আদেশ পেলে ছোটমণি নিবাসেই ঠাঁই হবে শিশুটির।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা স্বাক্ষরিত পাঁচলাইশ থানায় পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, গতবছরের ২৫ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার সময় প্রসব বেদনা নিয়ে এক মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত নারী ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে (গাইনি এন্ড অবস) ভর্তি হন। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার সময় তিনি একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন। রাত ১১টার সময় শিশুটিকে হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. সাকেরার মাধ্যমে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে (নিওনেটলজি বিভাগ) ভর্তি করানো হয়।

 

শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যস্ততার ফাঁকে গত ১ আগস্ট সকাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে হাসপাতালের বিছানায় আর পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ নিতে পাঁচলাইশ থানার ওসি বরাবর দুটি চিঠি পাঠানো হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, শিশুটির নির্ভরযোগ্য কোন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সিনিয়র সহকারী জজ পঞ্চম আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে শিশুটির বিষয়ে মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

 

চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ্য এবং ছাড়পত্র প্রদানের উপযোগী। সুস্থ্য শিশুটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালে রাখা হলে পুনরায় অসুস্থতার ঝুঁকি রয়েছে। শিশুটির সুস্থতা ও পরিচর্যার বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক তাকে ছোটমণি নিবাসে প্রেরণের জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করা প্রয়োজন।

 

জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ্য এবং ছাড়পত্র প্রদানের উপযোগী থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শিশুটিকে হাসপাতালে রাখা হলে পুনরায় অসুস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুটিকে রৌফাবাদ ছোটমণি নিবাসে রাখা প্রসঙ্গে মতামত জানতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমরা আবেদন করেছি। ছোটমণি নিবাস কর্তৃপক্ষের সাথেও আমরা আলোচনা করেছি। আদালতের আদেশ পেলে শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট