চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪

চট্টগ্রামে মজুদ ৮শ’এন্টিভেনম

ইমাম হোসাইন রাজু

২৩ জুন, ২০২৪ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই আতঙ্ক আর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে রাসেলস ভাইপার সাপ ঘিরে। ইতোমধ্যে রাসেলস ভাইপারসহ সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুদ করা হয়েছে এন্টিভেনম। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চট্টগ্রামে ৮০০ ভায়াল এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের সকল উপজেলায় সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু রয়েছে। প্রতিটি উপজেলাসহ অন্যান্য সেন্টারগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় যথেষ্ট এন্টিভেনম মজুদ আছে। সবমিলিয়ে ৮০০ ভায়াল এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে। কাউকে সাপে কাটলে কোথাও না গিয়ে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই চিকিৎসা পাবেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ ভায়াল, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ ভায়াল, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ ভায়াল, সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ ভায়াল, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ ভায়াল, মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭০ ভায়াল, চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ ভায়াল, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ভায়াল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ ভায়াল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৭০ ভায়াল এবং অন্যান্য সেন্টারগুলোসহ সবমিলিয়ে প্রায় ৮০০ ভায়াল এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে।

 

বাংলাদেশের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনসিডিসি) এক জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয় এবং সাড়ে সাত হাজার মানুষ মারা যায়। অনেকে সাপের কামড়ে বেঁচে গেলেও অঙ্গহানিসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট