চট্টগ্রাম সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

সড়কে ঈদযাত্রা এখনও ‘স্বস্তির’, ভিড় বেড়েছে বাস কাউন্টারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০২৪ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে ফাঁকা হতে শুরু করেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে শহর ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। এ কারণে রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি নগরীর প্রবেশপথগুলোর বাস কাউন্টারেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। তবে সড়কপথে এবারের ঈদযাত্রা এখনও ‘স্বস্তির পর্যায়ে’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগের দুই দিন ১৪ ও ১৫ জুন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এবার ঈদে টানা পাঁচদিন ছুটি মিলছে। সে হিসাবে গতকাল ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। ফলে এদিন বিকাল থেকেই নগরীর বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় তৈরি হয়।

 

গতকাল বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ একে খান গেট ও অলংকার মোড়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর এবং চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ অক্সিজেন এলাকা ঘুরে বাস কাউন্টারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে।

 

বাস কাউন্টারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- ঈদযাত্রা উপলক্ষে যাত্রীদের জন্য বাড়তি বাস এবং অতিরিক্ত ট্রিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিড় কিছুটা বাড়লেও এখনও ঘরমুখো মানুষের ঢল নামেনি। সড়কেও যানজট তেমন নেই বললেই চলে। তবে আজ শুক্রবার থেকে সড়কপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা তাদের। এ জন্য বাড়তি প্রস্তুতিও নিয়েছেন তারা।

 

তবে একাধিক যাত্রী জানান- প্রতিবারের মতো এবার প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি না থাকায় বাসে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কয়েকটি পথে বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলা পুরোনো বাস দিয়ে ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে এসব কিছু ছাপিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাসেই বাড়ি ফিরছেন তারা।

 

তীব্র তাপদাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন কক্সবাজারের আনিস উদ্দিন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অফিস করেই পরিবার নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। ট্রেনে চেষ্টা করেও টিকিট না পেয়ে বাসেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাকে। সৌদিয়া পরিবহনে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছেন তিনি।

 

নগর পুলিশের ট্রাফিক-দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) এন এম নাসিরুদ্দিন জানান, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আনন্দময় ও নিরাপদ করতে আমরা কাজ করছি। যানজট এড়াতে সড়কে ডাবললাইনে গাড়ি, মৌসুমী টিকিট কাউন্টার কিংবা একই কোম্পানির একাধিক গাড়ি একসাথে কাউন্টারের সামনে দাঁড়াতে দিচ্ছি না। এ জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে স্বাভাবিক যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। এ লক্ষ্যে কাউন্টারভিত্তিক নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ও জরাজীর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণতে ভোগান্তিতে ফেলে অস্থায়ী বা মৌসুমী বাস কাউন্টারও স্থাপন করা যাবে না।

 

পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখ নগরীর অক্সিজেন এলাকা। অক্সিজেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরির্দশক (এসআই) মৃণাল কান্তি দাশ জানান, ঘরমুখো মানুষের চাপ এখনো তেমন বাড়েনি। তবে শুক্র ও শনিবার চাপ বাড়বে। মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে ট্রাফিক বিভাগ ও থানা পুলিশ সমন্বিতভাবে অক্সিজেন মোড় যানজটমুক্ত রাখতে কাজ করছে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট