প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসতে থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। রবিবার (২৬ মে) মিরসরাই, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার মানুষজন এসব আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, এই পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বেলা দেড়টার পর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন পরিচালিত ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। পাশাপাশি দামপাড়া চসিক বিদ্যুৎ কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চিকিৎসদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি যারা রোস্টার ডিউটি পালন করেন তাদের কর্মস্থলের আশপাশে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্যালাইন, সাপে কাটা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখা আছে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ