‘হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ…..আজি এ প্রভাতে রবির কর, কেমনে পশিল প্রাণের পর……উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে……রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা, ভাবিনি সম্ভব হবে কোনোদিন….. তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শতরূপে শতবার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার…, গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা.. কবিগুরুর এমন অনেক কবিতা ও গানে বাঙালির সুখেদুখে যেকোনো ক্ষণে তাঁর সৃষ্ট সব কর্ম ওতোপ্রোতভাবে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে। প্রতি মুহূর্তে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতিসত্বার এক প্রাসঙ্গিক ও চিরন্তন এক কবি। বাঙালিজাতি সর্বদা তাই ঋণী কালজয়ী তাঁর সৃষ্ট সব সাহিত্য,গানে, নৃত্যে এবং সংস্কৃতি ও কলার নানাশাখায় বিচরণের পরিধিতে। তাই কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে বাঙালি কখনো কার্পণ্য করেনি। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে নানান বর্ণে রঙিন ডালা সাজিয়ে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম আয়োজন করেছে রবীন্দ্রজয়ন্তী।
শুক্রবার (১০ মে) চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজারস্থ মহিলা কলেজ চট্টগ্রামে সকাল সাড়ে দশটায় কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বোধন আয়োজিত রবীন্দ্রজয়ন্তী ১৪৩১’র সঞ্চালনায় ছিলেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী গৌতম চৌধুরী ও ঋত্বিকা নন্দী। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আজিজ। এরপর কখনো গানে, কখনো কবিতা, কিংবা নৃত্যের সূচীতে উদযাপন করা হয় বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তী। একেবারে নিজস্ব বলয়ে বৈঠকী আবহে মনোমুগ্ধকর ও সাবলীল উপস্থিতিতে আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের সহসভাপতি আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিপ্লব কুমার শীল, আবৃত্তিশিল্পী সাজেদুল আনোয়ার, লিমা চৌধুরী, শংকর প্রসাদ নাথ, শর্মিলা বড়ুয়া, ডেজী চৌধুরী, রমা দাশগুপ্ত, সুচিত্রা বৈদ্য, জলিল উল্লাহ, কলি সরকার, সেউঁতি মজুমদার, ঐশী দে, শ্রেয়সী বিশ্বাস, প্রকৃতি দাশ, মোহছেনা আক্তার, মলিনা মজুমদার, অম্লান চৌধুরী, সুহিতা দে, মেরী মিত্র, অন্তর্লীনা কর, অপ্সরা বিপ্লব জুহি, বিশাখা বড়ুয়া, তামিম আজিজ, ঋদ্ধি সুতপা, সুচিত্রা চৌধুরী, সৌম্যজিৎ মিত্র, ঐন্দ্রিলা সাহা, আদ্রিতা সাহা, লগ্ন বড়ুয়া, উদ্দীপ্ত বিশ্বাস, শুভ্রা রক্ষিত, জ্যোতি আচার্য্য, অভ্র বড়ুয়া বর্ণ, বৈশাখী বড়ুয়া ও অরিত্রী সাহা।
রবীন্দ্রসংগীতে নিজের ভেতরকার ভালোলাগার সুর ছড়িয়ে দেন শিল্পী শান্তা সেনগুপ্তা, অভ্রনীল দাশ, মেরী মিত্র, সুহিতা দে ও পূর্ণতা বড়ুয়া, সুবর্নিল সেনগুপ্ত ও অরুন্ধতী দাশ। এসময় তবলায় সংগত করেন অর্ণব মহাজন সপ্তর্ষী, সৌম্যজিৎ মিত্র ও অম্লান চৌধুরী। নুপুরের ঝংকারে মননে আলোক রশ্মি ছড়িয়ে দিয়ে নৃত্য পরিবেশনায় ছিল শিল্পী অংকিতা ভট্টাচার্য্য, পূর্ণতা বড়ুয়া, ষষ্ঠী দে দূর্গা।
পূর্বকোণ/পিআর