চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণপরিবহনে নয়, পণ্যপরিবহনে চাঁদাবাজি হয় : মঞ্জুরুল আলম

অনলাইন ডেস্ক

৭ মার্চ, ২০২৪ | ৮:৫৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ও হাটহাজারীর পৌর প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেছেন- চট্টগ্রামে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যারা রয়েছি- আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের কোনো চাঁদাবাজির সাথে নেই। পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হচ্ছে- তা আমরাও বন্ধ করতে চাই। আমরা রমজানের মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাই। এখানে পুলিশ, প্রশাসন, স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী রয়েছেন, তাদের মাধ্যমে আমাদের যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করতে চাই। যদি আমাদের দাবিসমূহ না মানা হয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।  চট্টগ্রামে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সকল সংগঠন একযোগে কাজ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) নগরীর একটি হোটেলে পরিবহন সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যাদি উত্তরণের নিমিত্তে সরকারের কাছে দাবি আদায়ের লক্ষে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু আরও বলেন, আমরা পরিবহন ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছি যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমরা সরকার থেকে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করি না। এমনকি পরিবহনের এক বছরের ট্যাক্স সরকারকে জমা দিয়ে আমরা রাস্তায় গাড়ি নামাই। এরপরও যে টিআইবি আমাদের চাঁদাবাজি করি বলে তকমা দিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। টিআইবি’র কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- চট্টগ্রামের কোন সংগঠন চাঁদাবাজি করেছে, তার প্রমাণ কি আপনাদের কাছে আছে? থাকলে প্রমাণ দিতে হবে। ঢালাওভাবে পরিবহন মালিকদের দোষারোপ করলে হবে না। পরিবহন মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দিয়ে থাকে, সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা তা প্রদান করে না। তাই টিআইবির প্রতিবেদনকে আমরা ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমনকি আমরা গণপরিবহন নেতৃবৃন্দ সকলে একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবহনের রাজনীতি করি, আমাদের টাকা দিয়ে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি। এখানে আমাদের টাকায় লাখ লাখ মানুষের পরিবার চলে। টিআইবি তারা তাদের স্বার্থ হাসিল ও বিদেশি ডোনেশন পাওয়ার উদ্দেশে পরিবহন মালিকদের পেছনে লেগেছে। 

সভাপতির বক্তব্যে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছে। ইচ্ছেমত তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। যা আমাদের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে, আমরা অপমানিত বোধ করছি। টিআইবির রিপোর্টকে সাংবাদিকরাও মনগড়া রিপোর্ট করেছে। এমন রিপোর্ট করে তারাও মজা পায়। অথচ দেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়নি। কোনো এক জায়গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা সারাদেশের সমস্যা বলে ফুটিয়ে তুলেছেন। চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন একত্রে আছি, একত্রে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

পরিবহন নেতা আহসান উল্লাহের সঞ্চালনা এবং আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক মো. অলি কাপ্তাই বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরী, রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হোসেন, বাঁশখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম, দক্ষিণ জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন ও চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহাজাহান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- পরিবহন নেতা মো. শওকত, মো. আবছার, মো. জাফর (পিএবি), মনছুর আলম, ফারুক খান, মনছুর আনোয়ার, মো. জাফর, খোরশেদুল আলম, আবুল কাশেম, মো. কামাল, মো. খোরশেদ প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ ৩০টি গণপরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট