মিরসরাই আসনের সংসদ সদস্য, আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেছেন, স্বপ্নচাষি বইয়ে হিরোইজমের গল্পের কথা উঠে এসেছে। সমাজে অনেক মানুষ আছে নীরবে অনেক ভাল কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কথা সবার সামনে খুব একটা উঠে আসে না। এ বইয়ে ৩০ জন সেই হিরোর গল্প উঠে এসেছে। স্বপ্নচাষি বইটি হাতে নিয়ে আমার কক্সবাজারের একটি মেয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। সার্ফিং করতে ওই মেয়েটি খুবই পছন্দ করতেন এবং পুরষদের থেকেও ভাল সার্ফিং করতেন। একদিন ওই মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সার্ফিং করে বলে মেয়েটির বিয়ে ভেঙ্গে যায়। ওই মেয়েটির গল্প নিয়ে আমি ‘নডরাই’ সিনেমা করেছি। নারী মুক্তির গল্প ছিল এটি। এ রকম সংগ্রামী মানুষের ৩০টি গল্প এ বইয়ে রয়েছে। সমাজে যারা নিজেরা উদ্যোক্তা হতে চান, স্বপ্নবান মানুষ হতে চান তাদের এ বইটি পড়া উচিত।
এমপি রুহেল আরও বলেন, ছাদ কৃষি আমার মায়ের পছন্দের একটি বিষয়। মা নন্দনকাননের বাসার ছাদে অনেকদিন ছাদ বাগান করেছেন। এখন ঢাকার বাসার ছাদেও বাগান করছেন। ছাদে এখন আলু চাষ হচ্ছে। এটি কৃষিতে নতুন সংযোজন। এভাবেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে লেখক-সাংবাদিক আহমেদ কুতুবের ‘স্বপ্নচাষি’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য দেন জিটিভি চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান অনিন্দ্য টিটো।

পূর্বদেশের বার্তা সম্পাদক আবু মোশাররফ রাসেলের সঞ্চালনায় পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ।

বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, বিএফইউজের নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহার মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ ড. ইদ্রিস আলী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, ন্যাপ চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পাঁচলাইশ থানা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।

সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, সুন্দর সমাজ গড়তে সারা দেশে আমি ১০০টি আধুনিক সিনেমা হল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১টি সিনেমা হল করতে পেরেছি। বাকি গুলে পর্যায় ক্রমে করবো।

পূর্বকোণ/এএইচ