চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি

সরব আ. লীগ দোটানায় বিএনপি

মোহাম্মদ আলী

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে দলটি এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে না। থাকছে না ‘নৌকা’ প্রতীকও। স্বতন্ত্র প্রার্থী’র ব্যানারে অংশগ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় এ ঘোষণা দেওয়ার পর চট্টগ্রামে ১৪ উপজেলার আওয়ামী লীগের শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সরব উপস্থিতির মধ্যে অনেকটা দোটানায় বিএনপি। নির্বাচন নিয়ে কেউ সরাসরি মুখ না খুললেও কারো কারো রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে নানা আলোচনা আছে বিএনপির অভ্যন্তরে। বিএনপির দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের মত উঠে আসার কথা জানা যাচ্ছে। এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে না করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এ নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীক এবং আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না। তাতে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সরকারি দলের ‘একতরফা’ প্রভাব কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্দোলনে ব্যর্থতা ও সংসদ নির্বাচনের পর মাঠের নেতা-কর্মীরা এখনো হতাশায়। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ এখন মামলা, বিচার, সাজার রায় নিয়ে আদালতে যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন। আরেকটি অংশ এখনো কারাগারে। আন্দোলনের কর্মসূচিও এখন সেভাবে নেই। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত করার কৌশল নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সভা-সমাবেশসহ একধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা থাকে।

 

চট্টগ্রামে উপজেলার সংখ্যা ১৫টি। এগুলো হচ্ছে- মিরসরাই, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া. কর্ণফুলী ও বাঁশখালী। এর মধ্যে মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাচন হবে বিলম্বে। অবশিষ্ট উপজেলাগুলোর চার ধাপে নির্বাচন হবে। আগামী মে’র শুরু থেকে এ নির্বাচন আরম্ভ হবে। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এমন কি কোনো কোনো উপজেলায় প্রার্থীর তালিকাও ছোট হয়ে এসেছে। এতে ভালই প্রস্তুতি নিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সরব প্রস্তুতির বিপরীতে দোটানায় থাকা বিএনপির কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। এটা শুধু এবারই নয়, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীরা অংশ গ্রহণ করেননি। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভাল ফলাফল করেছিল বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা প্রায় সমান সংখ্যক উপজেলা নির্বচনে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ৫টি, বিএনপি ৫টি, জামায়াত ৩টি ও এলডিপি ১টি উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়।

জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এটা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত। যদি দলের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করে দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট