ট্রাফিকের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন জানান, সড়কে গাড়ির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অবৈধ গাড়িগুলোকে প্রতিদিন মামলা দেয়া হচ্ছে। মামলায় প্রতিমাসে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
অবৈধ গাড়ি আটক প্রসঙ্গে উপ-কমিশনার জয়নুল বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ি রয়েছে। তবে সব গাড়ি আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ নগরীতে স্থায়ী কোন ডাাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তবে ট্রাফিকের সদিচ্ছা নেই- তা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, ২০-২৫ বছরের বেশি বয়সী মেয়াদোত্তীর্ণ বাস সড়ক থেকে সরাতে ট্রাফিক বিভাগ বদ্ধপরিকর। কিন্তু ওইসব যানবাহন সরাতে গেলে দেখা যায় সব গাড়ির ফিটনেস রয়েছে। এছাড়া তারা উচ্চ আদালতে রিট করে দেয়। যেমন- ব্যাটারি রিকশা। ব্যাটারি রিকশা সড়ক থেকে সরাতে বার বার চেষ্টা করেও আইনের মারপ্যাঁচে তা হচ্ছে না।
এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল প্রসঙ্গে উপ-কমিশনার জয়নুল বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সরানোর ব্যাপারে পরিবহন নেতারা নিজেরা না চাইলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গাড়ি ডাম্পিংয়ের জায়গা থাকলে অবৈধ গাড়ি আটক সম্ভব হতো। সবচেয়ে বড় কথা হলো যার যেটা দায়িত্ব, তা পালন না করলে ট্রাফিক একার পক্ষে পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নগর ট্রাফিকের জনবল সংকট রয়েছে। তার উপর ট্রাফিকের নিজস্ব কোন ম্যাজিস্ট্রেট নেই। বিআরটিএর নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। তারা চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে পারে।
পূর্বকোণ/পিআর