চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম কলেজ

সবুজ গ্রুপের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৯:৩২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাস মল্লিক সবুজের পক্ষের নেতা-কর্মীদের হামলায় চোখ হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা। আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সৈয়দ মোস্তফা সাদিক রিজভী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।

 

আহত সৈয়দ মোস্তফা সাদিক রিজভী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরার্মশ নিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

 

ছাত্রলীগ নেতা রিজভী বলেন, ‘গত ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে আমার সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে কলেজে যাই। আমার বাংলা বিভাগের সামনে গেলে সেখানে আমার কিছু রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তারা আমার কলেজে আসার কারণ জানতে চায়। যথারীতি আমি তাদের কলেজে আসার কারণ জানাই। এরপর হঠাৎ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনির রায়হানের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দনি আরমান, শাখা ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও ইতিহাস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল, উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও কলেজের ভূগোল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুর রাজ্জাক, শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. নোমান শিমূ ও ইংরেজি বিভাগের জনি, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিব বাবু আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। পরে কলেজের শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তারা আমাকে মাটিতে রেখে চলে যায়।’

 

হামলাকারীরা কলেজে আবার দেখলে মেরে ফেলার হুমকিও দেন বলে জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাকে নানা মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলে আরও বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে চোখের ব্যথা অন্যদিকে হুমকির কারণে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনযাপন করছি।’

 

জানতে চাইলে সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, রিজভী আমার কর্মী। ছোট ভাইয়ের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। আমি সবাইকে ডেকেছি, বসে মিমাংসা করে দিচ্ছি।

 

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তবে লিখিত আভযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট