চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ১৬টি আসন

সর্বোচ্চ ভোট রাউজানে ৬১, সর্বনিম্ন হাটহাজারীতে ১৭ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

৭ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় তথ্যমন্ত্রীর আসন চট্টগ্রাম-৭ এ ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৫ আসনে, যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার ৬৬ লাখ ৯৬৪ জন।

 

রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে দেওয়া ফলাফল পর্যালোচনা করে এসব তথ্য মিলেছে।

 

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫টি। এরমধ্যে ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়ে ৩২ শতাংশ। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেল। ঈগল প্রতীকে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। এরমধ্যে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এছাড়া তরমুজ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তৈয়ব।

 

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ জন। প্রথম ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩১ শতাংশ। ওই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। তার প্রতীক ঈগল।

 

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও মহানগরের আংশিক) আসনে ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৭২। এ আসনে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৯ শতাংশ। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হয়েছেন এসএম আল মামুন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইমরান। ঈগল প্রতীক পেয়েছেন এই প্রার্থী। চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই। ওই আসনে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ভোটের মাঠে নৌকা না থাকলেও তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। তার প্রতীক কেটলি। এ আসনে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ জন ভোটারের মধ্যে ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এই আসনে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। ৬ ঘণ্টায় এখানে পড়েছে ৬১ শতাংশ ভোট। এই আসনে ভোট রয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০টি।

 

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আসনটিতে ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১ জন। এই আসনে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় পড়েছে ১৮ শতাংশ। পরে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। এখানে ৬ ঘণ্টায় মোট ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

 

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনেও নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। এখানে মূলত দুই আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে একে অপরের সঙ্গে লড়ছেন। জাতীয় পার্টিকে আসনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। এই আসনে ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে প্রথম ৬ ঘণ্টায় পড়েছে ২৫ শতাংশ ভোট।

 

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে লড়ছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৩ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম। তার প্রতীক ফুলকপি। এ আসনে মোট ভোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০৩টি। ৬ ঘণ্টায় ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-ডবলমুরিং) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের এম এ লতিফের সঙ্গে লড়ছেন তারই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। সুমনের প্রতীক কেটলি। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮৫২ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত পড়েছে ১৮ শতাংশ ভোট।

 

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। দলীয় সমর্থন না পেলেও তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বর্তমান হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন। এরমধ্যে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৯ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে অনেকটা প্রতিযোগিতাহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন। ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। নির্বাচনে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী। এই আসনে ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৩ জন ভোটারের মধ্যে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৩৬ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নৌকা প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব। তার প্রতীক ঈগল। ওই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪১১ জন। প্রথম ৬ ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২৮ শতাংশ ভোটার। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকা প্রতীকের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। এদের মধ্যে মুজিবুর রহমান সিআইপি ঈগল প্রতীকে এবং আবদুল্লাহ কবীর লিটন লড়ছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৫ জন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগ করেছেন ৩২ শতাংশ ভোটার। নিউজ: জাগোনিউজ

 

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট