বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র অগ্রভাগ। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। সন্ধ্যার মধ্যে মিধিলির মূল অংশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে বাতাসের গতি বেড়ে গেছে। দুপুর ১২টার দিকে গতিবেগ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি বাড়ছে। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ এবং সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় মনে করছেন, এই ঘূর্ণিঝড় খুব বড় ধরনের হবে না।
ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ হাজার ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব জেলার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দেশের আট উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও টুলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/এএইচ