চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

উদ্বোধনের অপেক্ষায় বায়েজিদ ফৌজদারহাট লুপ রোড

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ নভেম্বর, ২০২৩ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর অভ্যন্তরে যানজট নিরসন ও ঢাকামুখী যানবাহনকে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করানোর উদ্দেশ্যে বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোডের নির্মাণ শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ১০ বছর আগে নেয়া ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পের কাজ এখন অনেকটা শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে সড়কটির লাইটিং ও ফুটপাতের কাজ চলছে। যা চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোড যা বায়েজিদ ফৌজদারহাট লিংক রোড হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি এই সড়কের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক’ নামকরণ করা হয়। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে ফুটপাতের সংস্কার ও সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ চলছে। বিভিন্ন সময়ে পাহাড় ধ্বসে ফুটপাতের উপর থাকা মাটিগুলো শ্রমিকরা সরিয়ে দিচ্ছেন। সড়কের পাশ ধরে শ্রমিকরা সড়ক বাতি লাগানোর কাজ করছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ফুটপাত সংস্কার ও সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ শেষ বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা থেকে আসা দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও উত্তর চট্টগ্রামমুখী পরিবহনগুলো এই সড়ক ব্যবহার করে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করেই গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। এই সড়ক ব্যবহারের ফলে একদিকে দূরত্ব কমছে, অন্যদিকে যানজট থেকে রক্ষা পাচ্ছে। বায়জিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ নির্মাণের আগে দক্ষিণ ও উত্তর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী যানবাহনকে শহরের অভ্যন্তরে জিইসি, জাকির হোসেন রোড ও এ কে খান হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠে।

 

বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোডের প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, এই সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে সড়ক বাতির লাগানোর কাজ চলছে। এছাড়া, ফুটপাতে স্লোব প্রটেকশন লাগানো হচ্ছে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সড়ক বাতি এবং মেয়াদের আগেই স্লোব প্রটেকশনের কাজ শেষ হবে।

 

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন সড়কের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। মূলত নগরীর অভ্যন্তরে যানজট নিরসন এবং ঢাকামুখী যানবাহনকে শহরকে বাইপাস করে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। শুরুতে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর পাঁচ-ছয় দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সিডিএ। সর্বশেষ চলতি বছরের আগস্ট মাসে আরেক দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ৩৫৩ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। শতভাগ কাজ শেষ না হলেও ২০১৯ সালের শেষের দিকে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়।

 

উল্লেখ্য, নগরীর যানজট সমস্যার সমাধানকল্পে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে ১২টি কালভার্ট ও ৬টি ব্রিজ। প্রথমদিকে প্রকল্পটি ৩২০ কোটি টাকা থাকলেও পরবর্তীতে তা  বৃদ্ধি করে ৩৫২ কোটি টাকা করা হয়েছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট এই প্রকল্পের একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকেল্পর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট