চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

জনপ্রতিনিধির আড়ালে মাদকের কারবার!

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ নভেম্বর, ২০২৩ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

মাহমুদুর রহমান। টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার তিনি। বড় কোন ব্যবসা বাণিজ্য না থাকলেও কৃষি আয় এবং সুদের কারবার রয়েছে তার। সবমিলিয়ে তাঁর বৈধ আয় ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৪০ টাকা। অথচ তিনি সম্পদই গড়েছেন ৬ কোটি ৫০ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৫ টাকার। বাকি ৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টাকার সম্পদ বৈধ আয়ে ‘অর্জিত’ নয়। যার কারণে সাবেক জনপ্রতিনিধি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদক বলছে- আয়ের চেয়ে সাড়ে পাঁচগুণ বেশি সম্পদ অর্জনের জাদুর কাঠি ছিল মাদক কারবার। যিনি জনপ্রতিনিধির আড়ালে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। যা দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। ৭ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কার্যালয়টির উপ-সহকারী পরিচালক মো. রয়েল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় সাবেক জনপ্রতিনিধি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন এবং দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।

 

দুদক জানায়, ২০১৭ সালে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালে ২৪ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ প্রদান করে দুদক। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২০ মে দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। এতে মাহমুদুর রহমান ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৪ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন। কিন্তু যাচাইকালে তার নামে ৬ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ১৪৪ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পায় দুদক। অর্থাৎ তিনি ৪ কোটি ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।

 

অন্যদিকে, দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর নামে স্থাবর-অস্থাবর মিলে ৬ কোটি ৫০ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। এর বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ বৈধ আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৪০ টাকা। অর্থাৎ বাকি ৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টাকার বৈধ কোন আয়ের উৎস পায়নি দুদক।

 

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় কমিশনের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট