চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

সর্বোচ্চ দর উঠেছে সংরক্ষিত মূল্যের ৫৪.৬৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ নভেম্বর, ২০২৩ | ১২:২৭ অপরাহ্ণ

২৩ হাজার ৫৮০ কেজি আদা প্রকাশ্য নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে সংরক্ষিত মূল্যের ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদার ওই চালানের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছিল ২৩ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ টাকা। তার বিপরীতে নিলামে নগরীর পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের প্রতিষ্ঠান মাইনুদ্দিন জাবেদ ট্রেডিং দর দিয়েছে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

 

গতকাল (সোমবার) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য নিলামে এই দর পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদার এই চালানটি ইনভেন্ট্রির সময় এসব আদার আমদানিকৃত ও উৎপাদকৃত দেশ, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ পায়নি। রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর থানার ফারাশগঞ্জ এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাবা এন্টারপ্রাইজ এই আদা আমাদনি করে। ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারে মোট ৯শ ব্যাগে থাকা এসব আদা চলতি বছরের ২১ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দর নিলামের জন্য আর.এল ভুক্ত করে। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

 

গতকাল একই দিনে ১ লাখ ১০ হাজার কেজি গুঁড়া দুধের নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠে সংরক্ষিত মূল্যের ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই চালানের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৩ টাকা। এর বিপরীতে নগরীর হালিশহর ছোট পোলের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজ দর দেয় ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

 

জানা যায়, দুধের এই চালান আসে ভারত থেকে। মোট ৪টি ৪০ ফুটের কনটেনারে এসব দুধ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০২২ সালে। এই দুধের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন কাঁচপুরের প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ৪ হাজার ৪শ ব্যাগের এই চালানটিও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের ৪ জুলাই নিলামের জন্য আর.এল ভুক্ত করে। তার দু’দিন পর ৬ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে। এই চালানের গুঁড়া দুধের মেয়াদ রয়েছে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত।

 

তবে গতকাল (সোমবার) ১ লাখ কেজির অপর এক দুধের চালানের নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও নিলাম শুরুর প্রাক্কালে অনিবার্য কারণে সেই নিলাম স্থগিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ হট্টগোল শুরু করায় তাৎক্ষণিক দায়িত্বরত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামটি স্থগিত করে।

 

দুধের ওই চালানও আসে ভারত থেকে। মোট ৪টি ৪০ ফুটের কনটেনারে এসব দুধ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০২২ সালে। এই দুধের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নগরীর আসাদগঞ্জের ওসমান মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠান সিটি কমোডিটিস। মোট ৪ হাজার ব্যাগে তাদের আদানিকৃত গুঁড়া দুধগুলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের ৪ জুলাই নিলামের জন্য আর.এল ভুক্ত করে। তার দু’দিন পর ৬ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে। এই চালানের গুঁড়া দুধের মেয়াদ রয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। চালানটির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৬ টাকা।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট