বেশ কয়েক বছর ধরে টেলিভিশন নাটকে কাজ করছেন বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মেয়ে তিনি। নাটক দিয়ে অভিনয় যাত্রাটা শুরু তার ২০১৬ সালে। অভিনয়ের পাশাপাশি ইদানীং উপস্থাপনাও করছেন নাবিলা।
তবে এবার নাবিলা পা বাড়ালেন সিনেমায়। সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। বেশ ক’দিন চট্টগ্রামে সিনেমাটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। চট্টগ্রামের মেয়ে নাবিলার চট্টগ্রাম থেকে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হওয়াতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
সিনেমাটির নাম ‘যুদ্ধ জীবন’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শিরীণ আক্তার রচিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। মুক্তিযুদ্ধাভিত্তিক সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রিফাত মোস্তফা টিনা। সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন মহি মহিউদ্দিন। নাবিলা এতে নায়িকার অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে।
প্রথম ছবিতে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন ফেরদৌসকে। নাবিলা বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি ছবি দেখেই ভাইয়ার ভক্ত। ভাবিনি কখনো তাঁর সঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পাব। সময় আমাকে সেখানে দাঁড় করিয়েছে। তাঁর মতো একজন সহশিল্পীকে জীবনের প্রথম ছবিতে পাওয়াটা ভীষণ ভীষণ ভালো লাগার। তার উপর আবার মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা। সব মিলিয়ে যুদ্ধ জীবন চলচ্চিত্রটি আমার জন্য স্পেশাল হয়েই থাকবে।’
গল্প মুক্তিযুদ্ধের গল্পের পটভূমিতে নির্মিত হচ্ছে ‘যুদ্ধ জীবন’। সব মিলিয়ে তাই দারুণ এক উচ্ছ্বাস দেখা গেল নাবিলার মধ্যে। বললেন, ‘এই প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি। প্রথম সব কিছুই স্পেশাল। সিনেমাটিতে ফেরদৌস ভাইয়ের মত বড় মাপের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি।
চট্টগ্রামে সিনেমাটির শুটিং টানা সপ্তাহ খানেক চলবে বলে জানিয়েছেন নাবিলা। প্রথম লটের শুটিং শেষ করেই ঢাকায় ফিরবেন তিনি। আগামী মাসে ফের দ্বিতীয় লটের শুটিং হবে।
সিনেমাটির মাধ্যমে দ্বিতীয়বার চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের গল্পে শুটিং করছেন বলে জানালেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, এখানে ক’দিন আগেই দামপাড়া নামে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের একটি সিনেমার শুটিং করেছিলাম। এবার করছি ‘যুদ্ধ ও জীবন’ সিনেমার। আশির দশকের একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সিনেমার গল্প বলা হয়েছে। গত ৫-৬ দিন হয় শুটিং শুরু করেছি। এখন আমাদের টিম চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। চরিত্র নিয়ে বলতে নিষেধ আছে তাই বলতে পারছি না। ডিসেম্বরে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছেন পরিচালক।
পূর্বকোণ/এএইচ