চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

পূর্ব শত্রুতার জেরে শান্তি সমাবেশে কথা কাটাকাটি, ফেরার পথে ছুরিকাঘাত

অনলাইন ডেস্ক

১ নভেম্বর, ২০২৩ | ৭:২৮ অপরাহ্ণ

পূর্ব শত্রুতার জেরে নগরীর বাকলিয়া এলাকায় মো. তৈয়ব নামে (৩৫) স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার দুপুরে বাকলিয়ার আব্দুল লতিফ হাট ব্রিজের উপর আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকে ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত তৈয়ব বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তৈয়ব ১৮ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি স্থানীয় ক্ষুদ্র পোল্টি ব্যবসায়ী। তিনি বাকলিয়া কালামিয়া বাজার এলাকার কবির আহমদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দেন তৈয়ব। সমাবেশে বাকলিয়া এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সালাউদ্দিনসহ অন্যরাও অংশ নেন। শান্তি সমাবেশে তৈয়ব ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেখানেই তা মিমাংসা হয়ে যায়।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ নামে তৈয়বের প্রতিবেশী ও সহকর্মী পূর্বকোণকে বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ থেকে বাসায় ফেরার পথে আব্দুল লতিফ হাটের ব্রিজের উপর একা পেয়ে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৫/৬ জন তৈয়বকে আটকায়। এসময় তাকে মারধর করতে থাকে। একপার্যায়ে সালাউদ্দিনসহ অন্যরা তার পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ৭/৮টি স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তৈয়ব।’

প্রসঙ্গত : ২০২১ সালের ১১ জুন বড়মৌলভী কবরস্থানে নতুন সাইনবোর্ড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বড় মৌলভী বাড়ির লোকজন ও ইয়াকুব আলীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তৈয়বসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনটির পর থেকে তৈয়বের উপর আরও কয়েকবার হামলা হয়েছিল। এরমধ্যে বুধবার আবারও তার উপর হামলা হয় এবং তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। যারা ছুরিকাঘাত করেছেন তারাও আওয়ামী লীগের কর্মী। হামলার সময় সালাউদ্দিনের সঙ্গে সাকিব ও মাহফুজ নামের দুই জন ছিলো। বাকিদের চিহ্নিত করা যায়নি।’

জানতে চাইলে প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাত দিয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম পূর্বকোণকে বলেন, ‘নতুন ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে উভয় পক্ষের সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এরপর তৈয়ব বাসায় ফেরার পথে আব্দুল লতিফ হাটের ব্রিজের ওপর আবারও কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সালাউদ্দিনসহ অন্যরা তৈয়বকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিনের নামে থানায় আগেরও মামলা আছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

পূর্বকোণ/রাজীব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট