চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনলাইনেই কেক তৈরি শেখা, অনলাইনেই বিক্রি

সাদিয়া ও সাবরিনা এখন উদ্যোক্তা

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১ নভেম্বর, ২০২৩ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

সকাল থেকে ‘রেড ভেলভেট’ নামের একটি কেক তৈরিতে ব্যস্ত দুই বোন সাদিয়া আক্তার ও সাবরিনা মমতাজ। কারণ একটি গায়ে হলুদের অর্ডার পড়েছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যেই দিতে হবে ডেলিভারি। ফেসবুক পেজ ‘হেলদি কেকস এন্ড ফুড’ এর মাধ্যমেই দু’বোন ব্যবসা পরিচালনা করেন। আবার অনলাইনের মাধ্যমেই শিখেছেন কেক তৈরির কৌশল। তারপর হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। শুধু তারাই নয়, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেরই এখন আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এ মাধ্যমে একটি পেজ খুলে নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরেন। সেখানেই খুঁজে নিচ্ছেন আয়ের উৎস। ঘরে বসেই আয় করেন হাজার টাকা। তেমনি কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী দুই বোন সাদিয়া আক্তার ও সাবরিনা মমতাজ। অনলাইন মাধ্যমকে অবলম্বন করে হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। দুই বোন শখের বসেই ইউটিউবের মাধ্যমে শিখেন কেক বানানোর কৌশল। পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসেই ফেসবুকের মাধ্যমে শখের কাজ থেকে মাসে আয় করেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পার্টি সবখানেই দুই বোনের বানানো কেকের বেশ কদর।

 

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাদিয়া ইউটিউবে কেক তৈরির পদ্ধতি শিখেন। তারপর উপকরণগুলো কিনে ঘরে তৈরি করার চেষ্টা করেন। প্রথম অবস্থায় ভালোভাবে তৈরি করতে পারছিলেন না। বেশ কয়েকবার পুড়েও যায়। তবে একদিন ঠিক শিখে যান। আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। ভ্যানিলা, চকলেট, রেড ভেলভেট থেকে শুরু করে কাপ কেক, জার কেক এমন প্রায় ২০ রকমের বেশি ডিজাইনের কেক তৈরি করতে পারেন তারা।

 

সাবরিনা মমতাজ বলেন, বাইরে স্টুডেন্ট পড়াতে গেলে মা বাবা পছন্দ করেন না। তারা চিন্তা করেন মেয়ে মানুষ বাইরে গেলে যদি কোনো বিপদ হয়। কিন্তু বাবা মায়ের কাছ থেকে এখন আর টাকা নিতে ভালো লাগে না। নিজেদেরই কিছু করার ইচ্ছে জন্মায়। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেককে দেখি বিভিন্ন কিছু নিয়ে কাজ করে টাকা আয় করতে পারে। ভাবতে থাকি আমরা কী করতে পারি। আমরা দু’বোন ইউটিউবে কেক বানানো দেখতাম। আগ্রহ জন্মায় কেক তৈরি শেখার। সেখানেই কাজটা শিখি। প্রথম অবস্থায় পুড়ে যেত। এভাবে অনেকগুলো নষ্ট করেছি। এরপর ঠিক হয়েছে।

 

সাদিয়া আক্তার বলেন, আমরা দুই বোন কাপাসগোলা মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে একাউন্টিংয়ের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছে থেকে এ কাজ শিখি। কেকসহ নানারকম পিঠাপুলি পুডিং তৈরি করি। কেক সর্বনিম্ন ১৩০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি করি। পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে ভালোই আয় হয় মাসে। এখন ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে একটি দোকান দেয়ার। প্রশিক্ষণ সেন্টার করার।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট