চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক, গল্পকার ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সিনিয়র সদস্য খালেদ বেলাল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খালেদ বেলাল গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি তার শাররিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আজ সোমবার সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ বাদ আছর নগরীর গরীবুল্লাহ শাহ মাজার প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে মাজার সংলগ্ন কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া মৌলভীবাজারের পাশে ওলি গান্ধীর বাড়িতে জন্ম নেওয়া খালেদ বেলাল দৈনিক ঈশান পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি একাধারে সাংবাদিক, সাবেক তথ্য কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট গল্পকার ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার দৈনিক পয়গামে চাকরি করেছেন। তারপরে যোগ দেন সরকারের তথ্য অধিদপ্তরে (পিআইডি)। সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে আবারও যুক্ত হন সাংবাদিকতা পেশায়। দৈনিক ঈশানের পর যোগ দেন ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য পিপলস ভিউ’- এর উপদেষ্টা সম্পাদক পদে।
তার লেখা অসংখ্য বইয়ের মধ্যে ‘মরা গাঙ্গে ডুব সাঁতার’, ‘ক্ষমা করো শরীফার মা’সহ বেশ কয়েকটি গল্প ও প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য।
খালেদ বেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্যাহ ও মহাসচিব নুরুল আমীন রোকন, সিএমইউজের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান। নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় মরহুম খালেদ বেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম খালেদ বেলাল আপোষহীন এক কলম সৈনিক ছিলেন। তার মৃত্যুতে সমাজ একজন গুণীজনকে হারালো।
অপর এক বিবৃতিতে মরহুম খালেদ বেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডাক্তার খুরশিদ জামিল।
পূর্বকোণ/এসি